বহুল আলোচিত যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা বৈঠক। যে বৈঠকের জন্য তিন মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে অটোয়াকে। যেতে হয়েছে রাজনৈতিক নানা চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে। কিন্তু মোটা দাগে দুই দেশের প্রধানের বৈঠকের পরও আসেনি তেমন কোনো ফলাফল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সামনে বসিয়েই সাংবাদিকদের সামনে বুঝিয়েছেন, আর যেন ৫১তম অঙ্গরাজ্যের প্রসঙ্গ তিনি না তোলেন। কানাডা স্বাধীন দেশ, সব সময় স্বাধীন থাকবে। এই দেশ কারও কাছে বিক্রির জন্য নয়।
মার্ক কার্নি বলেন, ‘কিছু জায়গা আছে যা কখনও বিক্রির জন্য নয়। যেমন ধরুন বাকিংহাম প্যালেস। কানাডাও তেমন বিক্রির জন্য নয়। আমাদের সামনে সুযোগ অংশীদারিত্ব ও আগামীতে আমরা কী তৈরি করতে পারি তা নিয়ে। আগেও একসঙ্গে তা করেছি।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পও কৌশলে বিষয়টি মোকাবিলা করেন, তবে স্পষ্ট এও জানান, ওয়াশিংটনের কোনো কাজে অটোয়াকে প্রয়োজন নেই তার।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কানাডার সঙ্গে খুব বেশি একটা ব্যবসা করি না। তারাই আমাদের ওপর বেশি নির্ভরশীল। আমাদের পণ্য সব থেকে সেরা। আমরা যা বিক্রি করি, কোনো দেশ তা পারে না। এই যেমন বিশ্বে সেরা সামরিক সরঞ্জাম আমাদের। কানাডা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম কেনে। ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন, সবকিছুই আমাদের উচ্চমানের।’
ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাৎ ও বৈঠক মিলিয়ে দুই ঘণ্টার মতো সময় একসঙ্গে কাটান দুই নেতা। আলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি জানান, বিস্তৃত ও গঠনমূলক কথাবার্তা হয়েছে। তিনি অন্তত আশাবাদী।
মার্ক কার্নি বলেন, ‘অনেক গভীর আলোচনা বলা যায় এটাকে। আলাপ শুরুর আগেও ইতিবাচক হতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত ছিল না। সুতরাং নির্দিষ্ট সাফল্য এখনই প্রত্যাশা করা যায় না। কারণ এটা এখন বৈশ্বিক বিষয়।’
কানাডার গণমাধ্যমগুলোতে এই বৈঠককে ঐতিহাসিক আখ্যা দেয়া হয়েছে। সেখানে বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি মাত্র সংলাপের মাধ্যমে এতো জটিল বিষয় দ্রুত সুরাহা সহজ নয়। এ জন্য সময় দিতে হবে। প্রয়োজনে আবার বসতে প্রস্তুত কানাডা সরকার। তবে প্রাথমিকভাবে আশা করা হচ্ছে, অটোমোবাইল শিল্পে বইতে যাচ্ছে স্বস্তির হওয়া।