আজ (শনিবার, ২০ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শোক জানানোর পাশাপাশি এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বীর উত্তম আব্দুল করিম খন্দকার ২০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার প্রয়াণে জাতি আজ গভীর শোকাহত।’
আরও বলা হয়, ‘এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতাও। যিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অটুট নিষ্ঠা, কৌশলগত বুদ্ধি এবং অদম্য চেতনা জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
আরও পড়ুন:
মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠোর মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের দিকে পরিচালিত প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান নিযুক্ত হন এবং তার যোগ্যতম পরিচালনায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিমান বাহিনী পুনর্গঠনে সক্ষম হন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে “বীর উত্তম” খেতাবে ভূষিত করা হয়।’
এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এ কে খন্দকারকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তার ভূমিকা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’ এ ভূষিত করে বলে এ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, মৃত্যুকালে এ কে খন্দকারের বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি ১ কন্যা, ২ পুত্র ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।





