বিরল রক্তিম চাঁদের পূর্ণ গ্রহণ উপভোগ করল যুক্তরাষ্ট্রবাসী

.
উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করতে বিশ্ববাসীর উৎসাহের কোনো কমতি নেই। আর সেই চাঁদ যদি রক্তিম বর্ণ ধারণ করে তাহলে সেই গ্রহণ দর্শনে যোগ হয় আলাদা মাত্রা। শুক্রবার এমন বিরল রক্তিম চাঁদের পূর্ণ গ্রহণ উপভোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রবাসী। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার আকাশে দেখা গেছে ধূসর অথচ লাল রঙের চাঁদ।

এ যেন চাঁদের গায়ে বসন্তের পরশ। ধূসর চাঁদে লাল আবিরের ছটা। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার আকাশে দেখা গেছে বিরল এই রক্তিম চাঁদ। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্য ও ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের থেকে দৃশ্যমান হয়েছে রক্তিম চাঁদের পূর্ণ গ্রহণ।

নাসার তথ্য বলছে, এবারের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব ছিল ৬৬ মিনিট। পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য যখন একই সরল রেখায় অবস্থান করে তখন পৃথিবীর ছায়ার কারণে চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে কিছু সময়ের জন্য আড়ালেই থেকে যায় চাঁদ।

কিন্তু কোনো কোনো সময় সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কারণে বেঁকে গিয়ে পড়ে চাঁদের ওপর। তা থেকেই সৃষ্টি হয় লাল বা গোলাপি রঙের আভা।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ আফ্রিকা এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে। এদিকে, শুক্রবার চাঁদের পূর্ণ গ্রহণ দেখা গেছে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের থেকেও।

একজন বলেন, ‘ফটোগ্রাফিতে আমার পছন্দের একটি জিনিস হল অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফি। আজকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের দিন। ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের এই জায়গা থেকে চন্দ্রগ্রহণ সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ করা যায়।’

ক্যানারি দ্বীপে গ্রহণের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৬ ঘণ্টা। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে অন্তত ৬০ মিনিট ধরে।

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও শুক্রবার আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে। এদিন সন্ধ্যা থেকে লন্ডনবাসী গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন রক্তিম চাঁদ দেখবেন বলে, যদিও সেখানে লালের বদলে চাঁদের গায়ে ছিল হালকা হলুদ আভা।

অন্যদিকে ২০২২ এর পর প্রথম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করতে বোগোতা প্ল্যানেটারিয়ামে জড়ো হন কলম্বিয়ানরা। টেলিস্কোপ ও স্মার্ট ফোনের অ্যাপ ব্যবহার করে চাঁদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন তারা।

নাসার তথ্য বলছে, পরবর্তী চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর।

এএইচ