প্রতি ডজন ডিমের দাম বাংলা মুদ্রায় সাড়ে ৮শ' টাকা!

উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় চরম ডিম সংকটে ধুঁকছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম এক ডজন ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত সাত ডলার। এ অবস্থায় মুরগির ডিমকে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের সঙ্গে তুলনা করলেন কেউ কেউ। বাড়তি মুনাফার লোভে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী।

এক ডজন মুরগির ডিম কিনতে যুক্তরাষ্ট্রে গুণতে হচ্ছে অন্তত সাত ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৮শ' টাকা। বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায়, চরম সংকটে এভাবেই চড়া হচ্ছে দেশটির ডিমের বাজার।

এ অবস্থায় ডিমকে স্বর্ণের সঙ্গে তুলনা করলেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের মুরগি খামারি ডোয়াইন জোনস। খামারের মুরগিগুলোকে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষায় দিচ্ছেন বাড়তি সময়। মুরগির ডিমের টানাপোড়েনের বাজারে কিছুটা হলেও ভোক্তা চাহিদা মেটানোয় অবদান রাখতে চান তিনি। তবে দাম বাড়লেও লাভের পরিমাণ খুব সামান্য বলে দাবি খামারির।

ডোয়াইন জোনস বলেন, 'লাভের পরিমাণ খুবই কম। কারণ আমাকে খাবারও বেশি দামে কিনতে হয়।'

অনেক অসাধু ব্যক্তি খামার থেকে ডিম নিয়ে আরও বেশি দামে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ খামারি ডোয়াইন জোনসের। তাই পুনঃবিক্রয় রোধে সর্বোচ্চ দুই ডজন ক্রয়সীমা বাস্তবায়নে কাজ করছেন খামারিরা।

ডোয়াইন জোনস বলেন, 'কিছু লোক এসে সব ডিম কিনে আবার বিক্রি করছেন। যা অন্য গ্রাহকদের জন্য ন্যায্য দামকে আর হুমকিতে ফেলছে।'

গত মার্চ মাসে টেক্সাসের দুগ্ধজাত গবাদি পশুতে প্রথম ধরা পড়া বার্ড ফ্লু বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে ক্ষতির মুখোমুখি হাঁস-মুরগি এবং গবাদি পশুর উৎপাদন প্রক্রিয়া।

২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পোল্ট্রি খাতে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৬ কোটি মুরগি ও অন্যান্য গৃহপালিত পাখি নিশ্চিহ্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডিম ঘাটতি মোকাবিলায় দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনে প্রায় ১৫ হাজার টন ডিম রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু করেছে আঙ্কারা।

এসএস