শুল্কযুদ্ধের আগুনে আবারো ঘি ঢাললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে আমদানি শুল্ক আরোপকারী প্রতিটি দেশের ওপর আরোপ করা হবে পাল্টা শুল্ক। কবে থেকে শুল্কারোপ কার্যকর হবে, বিষয়টি পরিষ্কার না করলেও ট্রাম্প বলেন নিশ্চিতভাবেই পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে পরে কিংবা আগামীকালও নির্দেশনা দিতে পারি। তবে নিশ্চিত থাকুন, পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে। বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পুরো বিশ্ব ফায়দা নিয়েছে। আমাদের পণ্যের জন্য অর্থ নিয়েছে। কিন্তু আমরা নেইনি।’
আগামী ৪ঠা মার্চ থেকে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তালিকা থেকে নিজ দেশকে বাদ দেয়ার জন্য কূটনীতির আশ্রয় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদারেরা।
ওয়াশিংটনে কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কানাডার ১৩টি প্রদেশের প্রধান। পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ভয়াবহতা তুলে ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানান এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে চাকরি হারাবেন হাজারো মার্কিন নাগরিক। অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছেন মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম বলেন, ‘শুক্রবারের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মেক্সিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপ হবে। এছাড়াও আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের সঙ্গে আমাদের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তাই শুল্কারোপে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চাকরি হারানোর শঙ্কা রয়েছে। এটি কেবলই অনুমান নয়। কারণ ২০১৮ সালে এমন পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছিলেন।’
এদিকে এক নানা জল্পনা কল্পনা শেষে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি বাস্তবায়নে সবুজ সংকেত দিয়েছেন আদালত। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর ৬ মাসের বেতনের বিনিময়ে ২০ লাখ সরকারি কর্মীকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দেয় হোয়াইট হাউজ। তবে কয়েকটি শ্রমিক ইউনিয়নের মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের স্থগিতাদেশে থমকে যায় প্রক্রিয়া।
বুধবার মার্কিন ডিসট্রিক্ট বিচারক জর্জ ওটোল তার আদেশে বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর এ বিষয়ে লড়াইয়ের আইনি অধিকার নেই।
অভিযোগ দায়েরের আগে বিষয়টি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করা উচিত ছিল বলেও জানান তিনি। হোয়াইট হাউজের আশা ছিল প্রস্তাবটি গ্রহণ করবেন ২ লাখ কর্মী।
তবে প্রায় ৭৫ হাজার কর্মী স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার আবেদন করেছেন। যা মোট সরকারি কর্মীর ৩ শতাংশ।