উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ঐতিহ্য মেনেই প্রথম ভোট দিয়েছেন ডিক্সভিল নচের বাসিন্দারা

সমান ভোট ট্রাম্প-কামালার

রীতি অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ভোট দিয়েছেন নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ছোট শহর ডিক্সভিল নচের বাসিন্দারা। ৫ নভেম্বর প্রথম প্রহরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত সংলগ্ন শহরের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ছয় বাসিন্দা। তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষিত ফলে সমান তিনটি করে ভোট পেয়েছেন কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও রিপাবলিকান রেজিস্টার্ড ভোটার ছিলেন চার জন।

আমেরিকার স্টেটগুলোতে সময়ের ব্যবধান রয়েছে। তবে বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে শুরু হয় স্থানীয় সময় ভোর ৬টায়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ডিক্সভিল নচ। রীতি অনুযায়ী ৫ নভেম্বর প্রথম প্রহরেই নির্বাচনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ভোট দিয়েছেন নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ছোট এই শহরটির বাসিন্দারা।

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত সংলগ্ন শহরের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ছয় ভোটার। তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষিত ফলাফলে সমান তিনটি করে ভোট পেয়েছেন কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এখানকার ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকান রেজিস্টার্ড ভোটার ছিলেন চার জন। বাকি দুই ভোটার ছিলেন নির্দলীয়। তাই লাল বা নীল নয়, নিউ হ্যাম্পশায়ারকে বরং গোলাপি রাজ্য হিসেবে মনে করেন ভোটাররা।

একজন ভোটার বলেন, 'আমার মনে হয় নিউ হ্যাম্পশায়ার একটি গোলাপি অঙ্গরাজ্য। এখানে মতের অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমার মনে হয়, আমরা ছয় জনই বিভক্ত।'

অন্য একজন ভোটার বলেন, 'আমার মতে প্রেসিডেন্ট আমার জন্য কাজ করেন, আমরা প্রেসিডেন্টের জন্য কাজ করবো না। এই বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও আমি নিজেকে রিপাবলিকানদের শত্রু হিসেবে মনে করছি না।'

স্থানীয় এক ভোটার বলেন, 'সারাজীবন রিপাবলিকান হলেও এবার আমি দলের বিপক্ষে। মার্কিন হিসেবে আমি পতাকা, অধিকার, সংবিধান, আইনের প্রতি দায়বদ্ধ। তবে প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুগত নই।'

১৯৬০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবার আগে ভোট দিয়ে আসছেন ডিক্সভিল নচের বাসিন্দারা। সবার আগে ভোটগ্রহণ ও ফল ঘোষণা হলেও কে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসবেন, তার পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। শেষ দুই নির্বাচনে শহরটি থেকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জয় পেলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন জো বাইডেন।

এএইচ