উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

হোয়াইট হাউজে শেষবারের মতো বাইডেনের হ্যালোইন উদযাপন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো হোয়াইট হাউজে হ্যালোইন উদযাপন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবারের (৩০ অক্টোবর) এই আয়োজনে প্রেসিডেন্টের সাথে শিশুদের ক্যান্ডি ও বই উপহার দিয়েছেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। হোয়াইট হাউজে এবারের হ্যালোইন থিম ছিল 'হ্যালো-রিড'। শিশুদের বই পড়ায় উৎসাহিত করতে অভিনব এই থিমের আইডিয়া দেন ৪০ বছর ধরে শিক্ষকতার সাথে জড়িত, ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। এদিকে শুধু পশ্চিমা বিশ্ব নয়, হ্যালোইনের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়ায়ও।

সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা এক ফুটফুটে পান্ডাকে নিয়ে হোয়াইট হাউজ থেকে বেড়িয়ে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হ্যালোইন উপলক্ষ্যে আমন্ত্রিত শিশুদের দিকে হাত নাড়ছে পান্ডাটি। তবে এটি কোনো সাধারণ পান্ডা নয়, পান্ডার সাজে এসেছেন স্বয়ং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।

গেল বুধবার এভাবেই শেষবারের মতো হোয়াইট হাউজে হ্যালোইন উদযাপন করছেন বাইডেন দম্পতি। শিশুদের সাথে হ্যালোইনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ট্রিক অর ট্রিটারসে অংশ নেন তারা। ক্যান্ডির পাশাপাশি শিশুদের বই দিয়ে উৎসাহিত করেন জিল বাইডেন।

তবে ফার্স্ট লেডির পান্ডার সাজার পেছনে অন্য এক গল্প ছড়িয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমে। অক্টোবরের ১৫ তারিখ ওয়াশিংটনকে একজোড়া পান্ডা পাঠায় বেইজিং। গেল এক বছর দেশটির জাতীয় চিড়িয়াখানায় কোনো পান্ডা ছিল না। চীনের এই উপহারের সাথে জিল বাইডেনের সাজ নিয়ে রসিকতা করার সুযোগ ছাড়েননি মার্কিনরা।

এদিকে ডে অফ দ্য ডেড সেলিব্রেশনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারস। ঐতিহ্যগতভাবে নভেম্বরের ১ ও ২ তারিখ 'লা দিয়া দে লস মুয়ের্তোস' পালন করেন মেক্সিকানরা। এ উপলক্ষ্য জাতীয় ছুটিও ঘোষণা করে দেশটি। মেক্সিকানদের বিশ্বাস বিশেষ এই দিনে পরলোকগত আত্মারা তাদের পরিবার ও স্বজনের সাথে দেখা করতে মর্তে নেমে আসেন।

'ডে অফ দ্য ডেড' বা 'লা দিয়া দে লস মুয়ের্তোস' উদযাপন উপলক্ষ্যে বিরাট আকৃতির তিনটি পুতুল বসানো হয়েছে টাইমস স্কয়ারে। মেক্সিকান সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করতেই নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। অদ্ভুতুড়ে এই আয়োজনে সামিল হতে দূরদূরান্ত থেকে টাইম স্কয়ারে ভিড় করেন দেশ ও দেশের বাইরের হাজারও পর্যটক।

একজন পর্যটক বলেন, 'স্পেন থেকে এসেছি। এক সপ্তাহ ধরে এখানে ঘুরে-বেড়াচ্ছি। গতকালকে এই পুতুলগুলো বসানো হয়েছে। মেক্সিকান সংস্কৃতির লা দিয়া দে লস মুয়ের্তোস উদযাপন উপলক্ষ্য এগুলো বানানো হয়।'

হ্যালোইন দেখতে আসাদের মধ্যে একজন বলেন, '৯ বছর আগে মেয়েকে হারিয়েছি। যদিও তাকে সমাহিত করেছি, তারপরেও এ ধরণের আয়োজন আমার ভালো লাগে। লা দিয়া দে লস মুয়ের্তোস উপলক্ষ্যে এখানে আসার আগে মৃত প্রিয়জনের ছবি আনতে হবে। তা না হলে তাদের আত্মা কখনোই মুক্তি পাবে না।'

যারা এই 'ডে অব দ্য ডেড' উদযাপনে অংশ নিয়ে থাকেন তাদের বিশ্বাস, নভেম্বরের ১ তারিখ পৃথিবীতে রেখে যাওয়া পরিবারকে দেখতে নেমে আসে মৃত শিশুর আত্মা। আর, মেক্সিকান রীতি মেনে, পরিবারের পূর্ণবয়স্ক সদস্যের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয় ঠিক তার পরের দিন।

এসএস