উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে হামলার শঙ্কা বাড়ছে

মার্কিন নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, হুমকি ও হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। নতুন এই বাস্তবতা মোকাবিলায় শক্ত অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন। নিরাপত্তার পাশাপাশি নির্বাচনের স্বচ্ছতার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। হামলা শিকার ও হুমকির মুখে এরই মধ্যে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন নির্বাচনী কর্মকর্তা। ব্যালট বাক্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনকে আরো হুমকিতে ফেলেছে।

মার্কিন নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, হুমকি ও হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। নতুন এই বাস্তবতা মোকাবিলায় শক্ত অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন। নিরাপত্তার পাশাপাশি নির্বাচনের স্বচ্ছতার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। হামলা শিকার ও হুমকির মুখে এরই মধ্যে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন নির্বাচনী কর্মকর্তা। ব্যালট বাক্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনকে আরো হুমকিতে ফেলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। নানা সংকট ও সমস্যা সামনে ঘিরে ধরেছে নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে মার্কিন জনগণের মধ্যে আস্থাহীনতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয়রা বলছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা আসন্ন নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে।

একের পর এক হামলার শিকার হয়েছেন একাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিসের তথ্য মতে, প্রায় ১০ জনের চারজন স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তারা হুমকি, হয়রানি ও বাজে ব্যবহারের সম্মুখীন হয়েছেন। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ৫৪ শতাংশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টিরও বেশি রাজ্যে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাদা পাউডারে ভরা চিঠি পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি পোলিং স্টেশনে কর্মীদের মাস্ক ও গ্লাভস পরে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ভুয়া ফোনও এসেছে পুলিশের কাছে। ভোটকেন্দ্রে কর্মী ও ভোটারদের নিরাপত্তা জোরদারে দেশব্যাপী কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

লস অ্যাঞ্জেলসের কাউন্টি রেজিস্ট্রার ডিন লোগান বলেন, ‘প্রতিটি ব্যালট স্ক্যান করে সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা বা মেইলে কোনো সন্দেহজনক পণ্য বা পদার্থ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় আমরা ঘটনাগুলোকে আলাদা করে তদন্ত করতে পারবো। ভোটগ্রহণ থেকে গণনা পর্যন্ত সব ধরনের নিরাপত্তায় আমরা নিয়োজিত আছি।’

লস অ্যাঞ্জেলসের কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা বলেন ‘টহল গাড়ি ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সব ভোটকেন্দ্রে সিল করা ব্যালটগুলি নিরাপদে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রক্রিয়া প্রতি বছরই করা হয়। নির্বাচনে দিন, বাসিন্দাদের ভোটদানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা নেয়া হয়েছে। মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হুমকির ফেলতে চাইলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’

গেল সপ্তাহে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি ভোটকেন্দ্রে ৬৯ বছর বয়সী এক নির্বাচনী কর্মকর্তা হামলার শিকার হন। পরে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের গঠিত নির্বাচনী টাস্ক ফোর্স এখন পর্যন্ত ৪টি আলাদা মামলা করেছে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুমকির ঘটনাকে দুঃখজনক বলছে অ্যারিজোনার পুলিশ।

অ্যারিজোনার ম্যারিকোপা কাউন্টি পুলিশের রাস স্কিনার বলেন,‘নিরাপত্তার ইস্যুটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমাদের অনেক দিনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভোটারদের পাশাপাশি ব্যালটের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।’

এদিকে, ওয়াশিংটন এবং অরেগন অঙ্গরাজ্যে ব্যালট বাক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি হামলা বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর ব্যালট বাক্সের জায়গাগুলোতে ২৪ ঘণ্টা বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এএম