দরজায় কড়া নাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত দুই প্রার্থী। একের পর এক অঙ্গরাজ্য চষে করছেন নির্বাচনী সভা, দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
অটোমোবাইল শিল্পের জন্য বিখ্যাত ডেট্রোয়েট। মিশিগানের এই শহরটিকে উন্নয়ন বঞ্চিত করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। অঙ্গরাজ্যটিতে এক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে এই অভিযোগ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রার্থী জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে পুনর্জন্ম ঘটবে ডেট্রোয়েটের। বিশ্ববাসী আলোচনা করবে মিশিগান মিরাকেল নিয়ে।
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আজ ঘোষণা দিচ্ছি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়কালের মধ্যেই পুরো বিশ্ব ডেট্রোয়েটের পুনর্জন্ম নিয়ে কথা বলছে। মিশিগানের আশ্চর্য নিয়ে আলোচনা হবে। এটি হবে সত্যিকারের পুনর্জন্ম।’
তবে মিশিগানের এই সভায় খানিকটা বিপত্তিতে পড়তে হয় ট্রাম্পকে। বারবার মাইক্রোফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েকবার বন্ধ রাখতে হয় বক্তব্য। মাইক্রোফোন বিভ্রাট নিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে মজা করতেও ছাড়েননি ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘মাইক্রোফোন ভোগান্তির কারণে আমি এই প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করবো না। কিন্তু এরপর তারা গল্প বানাবে আমি সেবা নিয়ে অর্থ পরিশোধ করি না।’
তবে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই ট্রাম্পের। একই অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে এক সভায় এমন অভিযোগ করেন কামালা হ্যারিস। জানান, জয়ী হলে বিনিয়োগ করা হবে উৎপাদন খাতে। বাড়ানো হবে হবে দক্ষতা নির্ভর চাকরির বাজার, যেখানে প্রয়োজন হবে না শিক্ষাগত যোগ্যতা।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, ‘কেন্ট কাউন্টির কমিউনিটির মতো ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিনিয়োগ করা হবে। বন্ধ ফ্যাক্টরি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় জনগণের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এমন চাকরিও থাকবে যেখানে শিক্ষাগত সনদের প্রয়োজনীয়তাও নেই।'
এর আগে একে অপরকে নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করেন দুই প্রার্থী। দ্বিতীয়বার বিতর্কে অংশ না নেয়ায় কামালা প্রশ্ন তোলেন ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে। জবাবে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, আইনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন কামলা। তাই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে অযোগ্য।
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, ‘আমি ক্লান্ত নই, বরই উচ্ছ্বসিত। কারণ ভোট কেন্দ্রে তাকে পরাজিত করবো। কারণ মার্কিনরা তাকে পছন্দ করেন না। তিনি বার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি। তিনি স্মার্ট নন। এমন ব্যক্তি দেশের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য নয়।’
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, ‘আমি রিপোর্ট পেয়েছি, তার দল বলছে ট্রাম্প ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এজন্য তিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না। এমনকি আরেকটি বিতর্কে অংশ নিতেও মানা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা পৃথিবীর অন্যতম কঠিন চাকরি।’
এদিকে আরেক ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট অ্যারিজোনায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন বারাক ওবামা। এছাড়াও আগামী কয়েকদিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রচারণার জন্য সফর করবেন লাস ভেগাস, ডেট্রোয়েট ও ম্যাডিসনে।