উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ট্রাম্প জয় না পেলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইসরাইল!

ট্রাম্প জয় না পেলে ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকবে না। ইহুদি বিদ্বেষ বিষয়ক এক সভায় এমনটাই দাবি করেছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী খোদ ট্রাম্প নিজেই। তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে বন্ধ করা হবে যুক্তরাষ্ট্রে গাজা শরণার্থীদের পুনর্বাসন। অন্যদিকে, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে কামালা জানান, তিনি মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে থাকলেও বন্ধ করতে চান প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে কথার লড়াই। এর মধ্যে অন্যতম বড় ইস্যু গাজায় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ।

আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হেরে গেলে নিশ্চিহ্ন হবে ইসরাইল। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইহুদি বিদ্বেষ বিষয়ক এক সভায় এমনটাই দাবি করেছেন দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলকে রক্ষায় ট্রাম্পকে ভোট দিতে ইহুদি ধর্মগুরুদের কাজ করারও আহ্বান জানান ৭৮ বছর বয়সী এই নেতা।

রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমি যদি জয় না পাই, ইসরাইল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমি এটি হতে দিতে পারি না। তাই আপনারা সবাইকে একত্রিত করে ভোটদান নিশ্চিত করুন। আমার প্রতি মাত্র ৪০ শতাংশ সমর্থন আছে, এটি বলা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এমনটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। ইসরাইলের জন্য অপমানজনক।'

ইসরাইল-আমেরিকান সামিটে নিজেকে ইসরাইলের রক্ষাকর্তা হিসেবেও দাবি করেন ট্রাম্প। জানান, ক্ষমতায় আসলে গাজার শরণার্থীদের পুনর্বাসন বন্ধ করবেন তিনি। হেরে গেলে এর দায় মার্কিন ইহুদিদের নিতে হবেও উল্লেখ করেন রিপাবলিকান নেতা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেন, 'গাজার মতো সন্ত্রাসী পূর্ণ এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী পুনর্বাসন বন্ধ করা হবে। আমি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করবো। আমাদের দেশের সীমানা থেকে কট্টরপন্থি সন্ত্রাসীদের বাইরে রাখবো।'

এদিকে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে ডেট্রোয়েটে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস। এসময় তারকাদের পাশাপাশি ভোটারদের সঙ্গেও লাইভস্ট্রিমে যুক্ত হন কামালা। জানান, তিনি সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী মোতাবেক নাগরিকদের অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে। তবে সেক্ষেত্রে বন্ধ করতে হবে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার।

ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, 'বন্দুক সহিংসতা নিয়ে অনেকেই মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তারা বলছেন হয় আপনাকে দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে থাকতে হবে। নয়তো সবার থেকে কেড়ে নিতে হবে অস্ত্র। আমি দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে। তবে, একইসঙ্গে আমি প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধেরও পক্ষে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর অতীত দেখতে হবে।'

এদিকে অভিবাসীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে, ট্রাম্পের এমন ঘোষণার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ভূমিকা অপরিসীম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।