১৯৬০ সালে জন এফ কেনেডি ও রিচার্ড নিক্সনের মধ্যকার দ্বৈরথ দিয়ে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। ২০২৪ সালে এই ব্যাটন কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। ৬৪ বছরের প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের ইতিহাস বলছে, মাত্র কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ সময়ই বিতর্কে ভালো করা প্রার্থীর দখলে গেছে হোয়াইট হাউজ।
প্রায় দুইমাস যাবৎ জনজরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন কামালা হ্যারিস। সাম্প্রতিক বিতর্কে ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করার পর ব্যবধান আরো বাড়িয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
রয়টার্স ইপসোসের জরিপ বলছে, বিতর্কের পর কামালার প্রতি জনসমর্থন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশে। অন্যদিকে ট্রাম্পের জনসমর্থন নেমে গেছে ৪২ শতাংশে।
বিতর্ক দেখেছেন, এমন ৫৩ শতাংশ মার্কিনের মত, বিতর্কে পরিষ্কারভাবে জয় পেয়েছেন কামালা। অন্যদিকে ২৪ শতাংশ জনসমর্থন গেছে ট্রাম্পের পক্ষে। তবে এখনো অর্থনৈতিক ইস্যুতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর ভরসা রাখছেন ভোটাররা। যা নির্বাচনের সমীকরণ পাল্টে দিতে যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইপসোস পোলিং এন্ড সোসাইট্যাল চেঞ্জ প্রেসিডেন্ট ক্লিফোর্ড ইয়োং বলেন, 'বিতর্কে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন হ্যারিস। ভালো পারফর্ম করায় এর প্রভাব পড়েছে তার জনসমর্থনে। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প মৌলিক বিষয়গুলোয় জনসমর্থন ধরে রেখেছেন।'
বিতর্কের পর নির্বাচনী সফরে নর্থ ক্যারোলাইনায় কামালা হ্যারিস। জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পকে আবারো বিতর্কের জন্য আমন্ত্রণ জানান কামলা। দেশ ও সংবিধান রক্ষায় রিপাবলিকান হেভিওয়েট নেতারা তাকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে দাবি করেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
ডেমোক্রেটিক পার্টি ডেমোক্রেটিক পার্টি কামালা হ্যারিস বলেন, 'দুই রাত আগে, প্রথমবারের মতো ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ভোটাররা আমাদের আরেকটি বিতর্ক চান।'
তবে কামালার সঙ্গে আর কোনো বিতর্কে লড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রিপাবলিকান প্রার্থীর দাবি, বিতর্কে পরিস্কারভাবে হেরে যাওয়ায় রিম্যাচ চাইছেন কামালা। অ্যারিজোনায় এক জনসভায় অর্থনীতি বাঁচাতে নির্বাচনে তাকে জয়ী করার আহ্বান জানান ট্রাম্প।
রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, '৫ নভেম্বরে আমরা অর্থনীতিকে বাঁচাবো। আমাদের মধ্যবিত্তদের রক্ষা করবো। সার্বভৌমত্ব ও সীমানা পুনরুদ্ধার করবো। সবসময় যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে রাখবো। আমাদের দেশ পুনর্দখল করবো।'
এদিকে বিতর্কের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছেন কামালা হ্যারিস। গেল মাসে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর তহবিল সংগ্রহের হার ছিলো ৩৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। যা রিপাবলিকান প্রার্থীর তহবিলের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি।