উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

কামালা নির্বাচিত হলে ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকবে না, দাবি ট্রাম্পের

কামালা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকবে না। লাস ভেগাসে নির্বাচনী প্রচারণায় এমনটাই দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানান, তিনি নির্বাচিত হলে ইলন মাস্ককে প্রধান করে তৈরি করবেন সরকারি দক্ষতা কমিশন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত নির্বাচন বিশ্লেষক অ্যালান লিচম্যানের পূর্বাভাস, দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন কামালা হ্যারিস।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন নির্ভর করে দেশটির প্রেসিডেন্টের ওপর। যদিও বিগত ৭৬ বছরে ১৪ প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হলেও ধ্রুবকের মতোই ছিলো ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের সম্পর্ক।

ইতিহাসে মাত্র ৩ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেল আবিবকে সহায়তা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেও তা সীমাবদ্ধ ছিলো পত্রিকার পাতায়। গাজার রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করলে বন্ধে হয়ে যাবে ইসরাইলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা, জো বাইডেনের এমন হুঁশিয়ারিরও পেরিয়ে গেছে ৪ মাস। ইতিহাসই বলে দিচ্ছে, ইসরাইল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বদলে যাবে এমন চিন্তাও অমূলক।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, নির্বাচনে কামালা হ্যারিস জয় পেলে ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকবে না। বিশ্বজুড়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিবে ইরান ও তার মিত্ররা।

অন্যদিকে ক্ষমতায় এলে গাজার শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন মুল্লুক থেকে নির্মূল করা হবে ফিলিস্থিনপন্থিদের। সঙ্গে কাজ করবেন ইসরাইলকে শ্রেষ্ঠত্বের তকমা ফিরে পেতে।

রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'কামালা হ্যারিস জয় পেলে ইহুদিদের তাদের পবিত্র ভূমি থেকে উৎখাত করতে সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। ইসরাইলিরা জানেন না তারা কীসের মধ্য দিয়ে যেতে চলছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আপনারা ইসরাইল পাবেন না। ইসরাইলের অস্তিত্বই থাকবে না।'

লাস ভেগাসে ইসরাইলের পাশাপাশি ইলন মাস্ককে নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। জানান, নির্বাচিত হলে তৈরি করবেন সরকারি দক্ষতা কমিশন। যেখানে প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হবে মার্কিন ধনকুবেরকে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেন, 'আমি একটি সরকারি দক্ষতা কমিশন তৈরি করবো, যেখানে ফেডারেল সরকারের আর্থিক ও পারফরমেন্স নিরীক্ষা করা হবে। সঙ্গে সংস্কারের জন্য সুপারিশ করা হবে। এখন যেভাবে চলছে, সেখান থেকে বের হয়ে আসতে এটি করতেই হবে। ইলন মাস্ক টাস্ক ফোর্সের প্রধানের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন।'

তবে এতো কিছুর পরেও প্রথম নারী হিসেবে কামালা হ্যারিসই বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে। এমনটাই দাবি দেশটির এক বিখ্যাত নির্বাচন বিষয়ক পূর্বাভাসদাতার।

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালান লিচম্যান বলছেন, বিগত ১০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের চাবি কাঠি হিসেবে কাজ করেছে ১৩টি বিষয়। বর্তমানে পররাষ্ট্র ও সামরিক নীতিসহ ৮টি বিষয় কাজ করছে কামালার পক্ষে।

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক অ্যালান লিচম্যান বলেন, 'হোয়াইট হাউজ জয়ের চাবিকাঠিগুলো বিশ্লেষণে আমার পূর্বাভাস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন কামালা হ্যারিস। ৪০ বছর ধরে এই পদ্ধতিগুলো সঠিক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।'

১০ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক অংশ নিতে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবিরের দুই প্রার্থী। ফিলাডেলফিয়ায় বিতর্কটি আয়োজন করবে এবিসি নিউজ।