গত সপ্তাহে চাপের মুখে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যাওয়ার পর এই প্রথম জনসম্মুখে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওভাল অফিসে এটি তার চতুর্থবারের মতো ভাষণ। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তার রাজনৈতিক সাফল্য ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন বাইডেন।
১১ মিনিটের ভাষণে নিজের কৃতিত্ব ও আমেরিকান জনগণের গুণগান গেয়েছেন তিনি। দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নতুন প্রজন্মের কাছে আহ্বান জানান বাইডেন। তবে, নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনার কিছুই জানাননি তিনি।
ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, এই মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটের ঐক্যবদ্ধ থাকা খুব জরুরি। ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে তার কাছে দল ও দেশ বড়।
জো বাইডেন বলেন, 'একটা বিষয় পরিষ্কার, সমালোচনা বাদ দিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকার নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা থাকলেও, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য তার।'
নির্বাচনে মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পদ কামালা হ্যারিসের হাতে দিয়ে সরে দাঁড়ান বাইডেন। তিনি বলেন, আমেরিকার নতুন প্রজন্মের কাছে দল ও দেশের দায়িত্ব তুলে দেয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। যার জন্য কামালা হ্যারিস একজন যোগ্য প্রার্থী।
জো বাইডেন বলেন, 'আমেরিকার ভবিষ্যৎ আমেরিকান জনগণ বেছে নেবে। কামালা হ্যারিস একজন অভিজ্ঞ ও কঠোর পরিশ্রমী মানুষ। যার সঙ্গে কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন মহান নেতা হবেন তিনি। এখন পছন্দ জনগণের ওপর।'
বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ বন্ধে তার অব্যাহত চেষ্টার কথাও তুলে ধরেন বাইডেন। তার দাবি, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং মানবিক সহায়তা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে তার প্রশাসন। স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিবর্তন ও বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতিতে তার সরকারের সাফল্যগাঁথাও বর্ণনা করেন বাইডেন।
তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো রাজা শাসন করে না, শাসন করে দেশের জনগণ। বাইডেনের প্রেসিডেন্টের মেয়াদ আছে আরও ৬ মাস। এবার তার বিদায়ের পালা। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন বাইডেন।