উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের দক্ষতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান কাজই হচ্ছে প্রেসিডেন্টকে নিরাপত্তা দেয়া। ট্রাম্পের ওপর হামলার পর এই বাহিনীর দক্ষতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় তাদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে অনেকে। এদিকে রিপাবলিকানদের জাতীয় সম্মেলনের নিরাপত্তার দায়িত্বও তাদের হাতেই।

ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। এরইমধ্যে সিক্রেট সার্ভিসের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গাফিলতির কারণেই হামলাকারী সুযোগ পেয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে তাদের দায়িত্ব নিয়ে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংস্থাটি।

সিক্রেট সার্ভিসে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ববি ম্যাকডোনাল্ড বলেন, 'কোনো ইভেন্ট আয়োজনের পাঁচ থেকে সাত দিন আগে থেকেই সেই জায়গায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের কাজ। অনুষ্ঠান আয়োজনের আগে সম্ভাব্য সব ধরনের সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা কাজ করে। তবে ট্রাম্পের সমাবেশের আগে কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি?'

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও তুখোড় গোয়েন্দা সংস্থা বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিক্রেট সার্ভিসকে। হত্যা চেষ্টা ও পরিকল্পনা, অপহরণ, সম্মুখযুদ্ধ, সম্ভাব্য আক্রমণ সব পরিস্থিতির জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হয় সবসময়। প্রতি ৮ সপ্তাহ পর পর এজেন্টদের দক্ষতা বাড়াতে নানা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

অভিজাত এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। এছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ইউনিটে নিয়োজিত আছেন আরও অনেক। সিক্রেট সার্ভিসের মূল কাজ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিরাপত্তা দেয়া। পাশাপাশি বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টের পরিবারের সদস্য, প্রেসিডেন্টের অতিথি ও প্রেসিডেন্টের আদেশে যে কাউকে নিরাপত্তা দিতে থাকে এই সংস্থা।

সিক্রেট সার্ভিস তাদের কাজের গোপনীয়তার জন্য বিভিন্ন কোড ব্যবহার করে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য কোড নাম মোগুল। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সার্বক্ষণিক তাদের থাকতে হয়। প্রেসিডেন্টকে রক্ষায় জীবন দিতেও বাধ্য এজেন্টরা। এতো দক্ষ বাহিনীর নিরাপত্তায় থেকেও হামলার শিকার হলেন ট্রাম্প।

রিপাবলিকান দলের চারদিনের জাতীয় সম্মেলনের নিরাপত্তার দায়িত্বও সিক্রেট সার্ভিসের হাতে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে জোর দিয়েছেন সিক্রেট সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা অড্রে গিবসন-সিচিনো।

তিনি বলেন, 'সিক্রেট সার্ভিস জাতীয়ভাবে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। যা ফেডারেল সরকারের অধীন। সম্মেলন ঘিরে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। গত দেড় মাসজুড়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।'

১৯০১ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে সিক্রেট সার্ভিস। ১৯০৮ সালে এই সংস্থার ৯ জন এজেন্ট নিয়ে গড়ে উঠে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই।