কানাডায় গেলেই স্থায়ী হওয়া যায়। নানা পথঘাট বের করার ফন্দি শিখিয়ে দেশের কিছু এজেন্সি নানাভাবে মানুষ পাঠানো শুরু করে কোভিড কালের পর থেকে। ভিজিট ভিসায় আসা অধিকাংশের রয়েছে সীমাবদ্ধতা। কেউ কেউ দেশ থেকে অর্থ ধার করে আসেন স্বপ্নের দেশে। থেকে যাওয়ার কৌশল হিসেবে বেছে নেন অ্যাসাইলাম ক্লেইম বা শরণার্থী হওয়ার পথ। এতে উল্টো সরকার থেকে মেলে প্রতি মাসে কয়েকশ' ডলার। তাছাড়া দেশিয় দোকানপাটে নগদে কাজ জুটাতে পারলে কিছু বাড়তি ডলারও ঢোকে পকেটে।
দিন দিন ভিজিট ভিসায় এসে শরণার্থী হওয়ার পথ বেছে নেয়া মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বাড়তে থাকায় এবার কঠোর পথে হাঁটছে কানাডা সরকার। ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৮ হাজার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন পড়ে। তালিকার শীর্ষে মেক্সিকো, তুর্কিয়ে, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান। যেসব দেশ থেকে এসে শরণার্থী হওয়ার হার বেশি সেই সব দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সংখ্যা কমিয়েছে অটোয়া। ইতোমধ্যে বহু ভিজিট ভিসা প্রত্যাখ্যানও হয়েছে। বাদ পড়েছে যারা সত্যিই ঘুরতে আসতে চান তাদের ভিসাও।
সচেতন বাংলাদেশিরা বলছেন, ঘুরতে এসে থাকার সুযোগ নেয়ার যে পদ্ধতি দিয়েছে কানাডা সরকার, তাতে ভালো নির্দিষ্ট কিছু চাকরি পেতে হবে। তবে দেশে ফেরা বিপদজ্জনক দেখিয়ে শরণার্থী হওয়ার পথ বেছে নেয়া ভালো পদ্ধতি নয়। ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
তবে যারা সত্যিকার অর্থে ভালো শিক্ষার্থী, পড়াশোনার ফলাফল ভালো- তাদের জন্য ভিসা কঠিন হবে না। নির্দিষ্ট কাজে দক্ষ কর্মীদের জন্য রয়েছে আগের মতোই সুযোগ।