বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলায় এক পর্নো তারকাকে তথ্য গোপন রাখতে অর্থ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় বলছে, পর্নো তারকার জন্য কোহেনকে দেয়া অর্থকে ট্রাম্প অবৈধভাবে আইনি ব্যয় হিসেবে দেখাতে গিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন।
এ মামলায় মোট চারটি অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে ৫ নভেম্বরের ভোটগ্রহণের আগে একটি মাত্র অভিযোগের বিচার সম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক দণ্ডবিধির ১৭৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতির একাধিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এ মামলায়।
বিবিসি বলছে, এ বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগতে পারে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলবে।
রিপাবলিকান দল থেকে সম্ভাব্য এ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়তো আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন। জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্প যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে প্রতিটি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ চার বছর করে কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। তবে এ অভিযোগগুলির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কারাদণ্ডের বিধান নেই। তাই এ আবহে দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাম্পকে জেলে যেতে নাও হতে পারে।