জানুয়ারির শুরু থেকেই তীব্র শীত ও তুষারঝড়ে মারাত্মকভাবে ব্যাহত উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনজীবনে নেমেছে এসেছে স্থবিরতা। বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়েছে বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট।
কয়েকদিন পরপরই শীতকালীন ঝড় আঘাত হানছে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে। বন্ধ হয়ে পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজও। অর্থনৈতিক ক্ষতির অংক দিন দিনই বাড়ছে। তবুও জীবন চালিয়ে নিচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, 'সপ্তাহখানেক হলো সব বন্ধ। কোনো কিছুই খোলা নেই। এমনই চলবে। রাত অবধি আরও বরফ পড়বে। ইতোমধ্যে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বরফে ঢাকা পড়েছে সব কিছু। তাও এই ঋতুকে ভালোবেসেই এগোতে হবে।'
তীব্র ঝড়ে বিভিন্ন এলাকা এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। জরুরি বিভাগের কর্মীরা মাঠে নেমে কাজ করছেন। রাস্তা থেকে বরফ সরানোর কাজ চলছে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা।
এরই মধ্যে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। সব থেকে বেশি সমস্যায় বয়স্করা। প্রাণহানিও ঘটছে অনেক। এছাড়া নানা রকমের অসুস্থতাও বেড়েছে আগের তুলনায়।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে শতশত ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। সময়মতো উড়তে পারছে না অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও। এতে বিমানবন্দরেও দুর্ভোগ বেড়েছে যাত্রীদের।
কানাডার পূর্বের নোভা স্কশিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিমের ব্রিটিশ কলম্বিয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে মাইনাস ৩০ পর্যন্ত নেমে গেছে। বাণিজ্যিক নগরী টরন্টোর অবস্থাও বেগতিক।