বিপজ্জনক রকমের ঠাণ্ডা বাতাসে সতর্ক অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ১০ কোটির বেশি বাসিন্দা। নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসিসহ কিছু শহরে ৭২৮ দিনের তুষারের খরা শেষ হয়েছে দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় তুষারঝড়ের মধ্য দিয়ে। ওয়াশিংটন ডিসিতে চার ইঞ্চির বেশি তুষারপাত হয়েছে এরইমধ্যে। নিউইয়র্কের কিছু এলাকায় ৩৬ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর্কটিক থেকে ধেয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাসে সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশ অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সপ্তাহের শেষে আরেকটি বড় তুষারঝড়ের কবলে পড়তে পারে দেশটি। টেক্সাস, ওকলাহোমা ও কানসাসে এরইমধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রকি পবর্তমালা, উত্তরের সমভূমি আর মধ্যপশ্চিমাঞ্চলে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতেই তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে কয়েক মিনিটেই ফ্রস্টবাইট ও হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে মানুষরা। এরকম বিপজ্জনক পরিস্থিতি হবে বলে আভাস দিয়েছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ।
শীতকালীন ঝড়ে গেলো শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) থেকে মার্কিন ভূখণ্ডে প্রাণ গেছে প্রায় ১২ জনের। আরকানসাস, অরিগন, মিসিসিপি, কানসাস ও টেনেজিতে হয়েছে এসব মৃত্যু।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) অ্যালাবামা, লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, টেক্সাস, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজ। ক্লাসে যাচ্ছে না ১০ লাখের বেশি শিশু। ওয়াশিংটন ডিসিতে সরকারি অফিস-আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য বলছে, তীব্র তুষারপাত আর ঘন কুয়াশার কারণে শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাতিল হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফ্লাইট। শুধু সোম আর মঙ্গলবারই বাতিল করা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার ফ্লাইটের পূর্বনির্ধারিত যাত্রা।