তুরস্ক থেকে লিবিয়ার উদ্দেশে ফ্যালকন ফিফটি বিজনেস জেটটি স্থানীয় সময় গতকাল (মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ১০ মিনিটে উড্ডয়নের ৪০ মিনিট পরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক ও কারিগরি ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের অনুরোধও পাঠান পাইলট। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। দ্রুত অবতরণের সময়ই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে ৭৪ কিলোমিটার দূরে হাইমানা জেলার কাছে মেলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ভাড়া করা বিমানটিতে লিবিয়ার সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ ও তার চার সহযোগী এবং তিনজন ক্রুর সবাই মারা গেছেন। সেনাপ্রধান ছাড়াও নিহত হয়েছেন দেশটির স্থলবাহিনীর প্রধান, সামরিক বাহিনীর উৎপাদন কর্তৃপক্ষের পরিচালক, সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা এবং সামরিক চিত্রগ্রাহক।
আরও পড়ুন:
তুরস্কে সামরিক কমান্ডারদের একটি বৈঠক শেষে দেশে ফিরছিলেন তারা। এ ঘটনাকে লিবিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য বিশাল ক্ষতি উল্লেখ করে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হামিদ দবেইবা।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক ও কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে নাশকতা বা সন্ত্রাসী হামলার কোনো ধরনের আলামত পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে তুরস্কের এক কর্মকর্তা। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের পার্লামেন্টে লিবিয়ায় তুর্কি সেনা মোতায়েনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পাসের একদিন পরই এ দুর্ঘটনা ঘটলো। পশ্চিম লিবিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ। ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।




