সামাল দেয়া যাচ্ছে না রোগীদের ঢল। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে অসহায় চিকিৎসক। ত্রাণ আটকে, হাসপাতাল গুড়িয়ে দিয়ে কীভাবে হামাসকে গাজা থেকে উৎখাত করা যাবে এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারও।
আল নাসের আর আল শিফা ছাড়া হাতে গোনা কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সচল আছে গাজায়। সচল হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম আর লোকবল সংকট থাকায় সেখানেও মিলছে না স্বাস্থ্যসেবা। গেল সপ্তাহে ৪টি সচল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। উপত্যকার ৩৯টি হাসপাতালের মধ্যে সচল আছে ১৯টি। এই ১৯টি মধ্যে ৯৪ শতাংশ হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম-লোকবল।
এদিকে শুক্রবার (২৩ মে) মধ্যগাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের সামনে জড়ো হওয়া মানুষের ভিড়ে গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। আইডিএফের দাবি, এসময় সেখানে হামাসের বন্দুকধারী যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ আছে, দক্ষিণ গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ত্রাণের ট্রাক লুট করছেন হতভাগ্য ফিলিস্তিনিরা।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার উদ্বেগ, অপর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা গাজাবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে। আর ১১ সপ্তাহ পর গাজায় ত্রাণ ঢোকার অনুমতি দিলেও একে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর প্রহসন হিসেবে দেখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এই অনুমতি দেয়াকে ক্ষুধার্ত মানুষের জনসমুদ্রে এক চামচ খাবার দেয়ার সঙ্গে তুলনা করছেন তিনি।
অন্যদিকে গাজায় অস্ত্রবিরতির বিষয়ে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান ও উপত্যকাটির পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ফ্রান্স, সৌদি আরব, জর্ডান ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে। এছাড়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডার বিরুদ্ধে হামাসকে সহায়তা করার যে অভিযোগ এনেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফ্রান্স সরকারের মুখপাত্র।
অন্যদিকে অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে প্রতি সপ্তাহের মতো গেল শুক্রবারও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়েমেনের রাজধানী সানায়। এদিন, লাখো ইয়েমেনীর স্লোগানে এক টুকরো ফিলিস্তিনে পরিণত হয় সানার প্রধান সড়কগুলো।
গাজায় চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে গেল বৃহস্পতিবারও ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে দুটি মিসাইল ছুড়েছে ইয়েমেনী হুথি যোদ্ধারা। তেল আবিব ঐ মিসাইল প্রতিহত করার দাবি জানালেও এদিন সাইরেনের শব্দে কেঁপে ওঠে জেরুজালেম ও অধিকৃত পশ্চিমতীর।





