একের পর এক শহর নিজেদের দখলে নিচ্ছে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী। ক্ষমতাসীন বাশার আল–আসাদ সরকারের কাছ থেকে আলেপ্পো দখলের পর বিদ্রোহীদের লক্ষ্য হামার শহর। দুই পক্ষের তীব্র লড়াইয়ে নতুন করে সংকটের মুখে সিরিয়াবাসী।
দুই পক্ষে সংঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। আলেপ্পো শহরজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য ও জ্বালানি সংকট। এক টুকরো রুটির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। দেখা নেই গণপরিবহনের। পাম্প স্টেশনগুলো খালি পড়ে আছে।
চলমান সংঘাতে পূর্ব সিরিয়ায় অবস্থিতিত একটি মার্কিন ঘাঁটির কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালনো হয়। আত্মরক্ষায় পাল্টা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে পেন্টাগন বলছে, এর সঙ্গে চলমান সংঘাতের কোনো যোগসূত্র নেই। সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে।
মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। আত্মরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। কারা এই হামলা চালিয়েছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপ এর আগেও এ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিরিয়ার চলমান সংঘাত নিয়ে রীতিমত বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলেছে দুই দেশ।
জাতিসংঘে রাশিয়ার প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সিরিয়ার শহরগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে। যে দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সমর্থন করে না। তাদের বিরুদ্ধেই তারা আক্রমণ চালিয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।’
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রবার্ট উড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কখনই সমর্থন করে না। কয়েকদশক ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার এমন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের পর মিত্রদেশ রাশিয়া, ইরান ও কয়েকটি শিয়া–মিলিশিয়া সংগঠনের সহায়তায় সিরিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চল নিজের দখলে নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ২০২০ সাল থেকে দেশটিতে যুদ্ধ কার্যত বন্ধ ছিল।