রোববার, গাজা সিটির দু'টি স্কুলে হঠাৎই হামলা শুরু করে ইসরাইলি দখলদাররা। এতে, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সেখানে আশ্রয় নেয়া বহু গৃহহীন ফিলিস্তিনি। যদিও ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, স্কুল দু'টি হামাসের ঘাঁটি ছিল। এর আগেও মধ্যগাজায় হাসপাতালের ভেতরে তাঁবু লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা।
কেবল গাজা সিটি নয়, এদিন মধ্যগাজার দেইর আল বালাহ'র আল আকসা শহীদ হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে, হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা না গেলেও, নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এই যখন অবস্থা, তখন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশই শিশু। রোববার, এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় তারা। শুধু তাই নয়, গাজায় ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর থেকেই নারী ও শিশু ইসরায়েলি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এরমধ্যেই আরও একবার কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে শান্তি আলোচনা। মিশরের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানী কায়রোতে আরও এক দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হলেও, এতে কোনো ফল আসেনি। ফলে, অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে গাজার যুদ্ধবিরতির বিষয়টি।
এদিকে, লেবানন সীমান্তেও বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। সীমান্ত দিয়ে ইসরাইলে রকেট ছুড়ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ত্রিমুখী যুদ্ধের আশঙ্কায় লেবানন ছাড়তে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, তুর্কিয়ের নাগরিকদের। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ইরান ও লেবাননের আকাশপথ এড়িয়ে চলছে। লেবানন কর্তৃপক্ষ বলছে, সীমান্তে সংঘাতে এখন পর্যন্ত সাড়ে চার শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটেছে।
গেলো ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া চলমান এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ৩৯ হাজারেও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি ও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে গেল কয়েকমাস ধরেই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন খোদ ইসরাইলি নাগরিকরা। যদিও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে। আর হামাসের দাবি, যুদ্ধ বন্ধের কোনো পরিকল্পনাই নেই নেতানিয়াহু প্রশাসনের।