যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

হামাস প্রধানকে রক্ষা করতে পারলো না ইরান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন

ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে নিজ দেশেই রক্ষা করতে পারলো না ইরান। আচমকা এই হত্যাযজ্ঞে তেহরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই ক্ষান্ত ইরান। আর এ ঘটনার সঙ্গে ইসরাইলের ঘোষণা দেয়া, হামাস নির্মূলের যোগসূত্র আছে বলে দাবি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির।

সব দিক থেকে শক্তি ও সমর্থন যুগিয়ে গেলেও নিজ দেশে অবস্থানের সময় হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলো না ইরান। ঘুমন্ত অবস্থায় এক ভয়াবহ হামলায় শিকার হলেন হানিয়াসহ তার দেহরক্ষী। ইরানের মাটিতেই তাদের সমর্থিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের এই সর্বোচ্চ নেতার হত্যাযজ্ঞের খবরে তাই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

এমন ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাত উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। যেই ভবনে হানিয়া অবস্থান করছিলেন; সেটি লক্ষ্য করে আসলে কারা হামলা চালালো, তার আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে তেহরান। আশ্বস্ত করেছে খুব শিগগিরই প্রকৃত কারণ ও রহস্য উদঘাটনের। তবে ইসরাইল ছাড়া এত বড় ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস আর কারও হতে পারে না বলেও ধারণা সবার।

হামাসসহ তাদের অন্যান্য মিত্র পক্ষ সরাসরি ইসরাইলকেই দায়ী করছে। বলা হচ্ছে, ১০ মাসের বেশি সময় ধরে হামাসকে নির্মূলের নামে গাজায় যে আগ্রাসী অভিযান তারা চালিয়ে আসছে, তার সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে। সবশেষ হানিয়ে টার্গেট হলেও এর আগে ইসরাইলি হামলায় তার পরিবারের অন্তত ৬০ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। জুন মাসে গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে থাকা হানিয়ার বোনসহ তার পরিবারের ১০ জনকে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী। এর আগে এপ্রিলে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেছে তার তিন ছেলে এবং চার নাতির।

এবার অভিভাবককে হারিয়ে শোকের মাতম বইছে হানিয়ার পরিবারে। এর মধ্যেই ইসরাইলকে কোনোভাবেই জয়ী হতে দেয়া হবে না বলে সতর্ক করলেন তার পুত্রবধূ ইনাস হানিয়াহ। গাজা থেকে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ইনাস হানিয়াহ বলেন, 'আমি শ্বশুরকে হারিয়ে শোকাহত। তিনি মহান নেতা ছিলেন। ইরানে গিয়ে শত্রুদের হামলায় তার শাহাদাত বরণ দুঃখজনক। অবশ্যই আমরা আমাদের দুর্ভাগ্যের জবাব দেব। সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আমাদের পুরস্কৃত করবেন।'

বেশ কয়েক বছর ধরেই কাতারে বসবাস করেছিলেন হানিয়া। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে একাধিক কূটনৈতিক মিশনে ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইসরাইলের হাত থেকে গাজা উপত্যকাকে নিরাপদ করে যেতে পারলেন না।