গাজায় সেনা অভিযান শুরুর ৯ মাসে চরম আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে গেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতদিন হামাস নির্মূলে সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করলেও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাটকীয়ভাবে সমরাস্ত্র শিপমেন্ট কমে গেছে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে অস্ত্র সহায়তার পাশাপাশি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আর হিজবুল্লাহ'র সঙ্গে সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-প্রধান ইওয়াভ গ্যালন্ত। তিনি জানান, গাজা, লেবানন, ইয়েমেনসহ আশপাশের এলাকা থেকে যেকোন হামলার বিপরীতে প্রস্তুত ইসরাইল।
হামাস নির্মূল করারর নামে শরণার্থী শিবিরে হামলার কারণে এখন বেঁকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রও। ৯ মাসেও হামাসের কাছে বন্দিদের মুক্ত করতে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সরকার পতনের দাবিতে উত্তাল দেশের রাজপথ। এই অবস্থাতেও নিজের অবস্থান থেকে একচুল নড়ছেন না নেতানিয়াহু। ইসরাইলি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বন্দিদের মুক্ত করার পাশাপাশি হামাসকে সমূলে উৎপাটন করাই ইসরাইলের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে বন্দিদের মুক্ত করতে আংশিক চুক্তিতে আসলেও হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি। তবে শেষে আশার বাণী দেন যে, উপত্যকায় জোরালো সেনা অভিযান শেষের পথে।
তবে যুদ্ধসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়ার পর তিনি জানান, গাজা নিয়ে যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা। হামাস নির্মূলের পর গাজার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দেয়া হবে, এই সিদ্ধান্ত নিতেও নারাজ তিনি। জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা নেই তার। তবে উপত্যকার সাধারণ মানুষ দিয়ে পরিচালিত কোনো প্রশাসন বা এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর সহযোগিতায় পরিচালিত হতে পারে এই উপত্যকা, যেই প্রশাসন সহযোগিতা করবে উপত্যকায় মানবিক সহায়তা স্বাভাবিক রাখতে। লেবাননের সঙ্গে উত্তেজনাকে ঘিরে খুব দ্রুতই লেবাননের সঙ্গে উত্তর সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানান নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে হামাস বলছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবকে অগ্রাহ্য করেছে। তার আংশিক চুক্তির ফলাফল, চুক্তির মেয়াদ শেষে আবার যুদ্ধ শুরু হবে উপত্যকায়। যদিও হামাসের দাবি, স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও উপত্যকা থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া। যদিও এই সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে অনেক দূরে নেতানিয়াহু।