হামাস নির্মূলের দোহাই দিয়ে ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে বিশ্বনেতাদের এমন অভিযোগ শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গেল রোববার রাফায় অন্তত ৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি ইসরাইলের। খান ইউনিসে বেসামরিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর পর দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামাসের সক্রিয় সদস্যদের ঘাঁটি ছিল সেখানে।
গেল সপ্তাহে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার আল-জাজিরাকে হামাস মুখপাত্র ওসামা হামদান জানান, তারা প্রস্তাবটিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
তবে গাজার নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই হামাসের হাতে তুলে দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি বলেন, 'গাজায় হামাসের শাসন চলবে না। এই এলাকা থেকে হামাসকে নির্মূল করা হবে। বিকল্প একটি শক্তি সরকার গঠন করবে, যারা ভবিষ্যতেও হামাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে। যুদ্ধের যেকোনো পর্যায়ে বা যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও হামাস গাজার শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে না।'
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব মেনে নিয়ে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর অফিসের বাইরে বিক্ষোভ করেন জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, 'সরকার যেন যুদ্ধবিরতির সমঝোতা প্রস্তাব মেনে নেয় সেজন্য এখানে জড়ো হয়েছি। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে সকল জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনবেন।'
এছাড়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে পাকিস্তানের করাচিতে রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান জামাত-ই-ইসলামি'র নেতারা।
তাদের একজন বলেন, 'গাজায় ইসরাইল যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তা বন্ধের দাবি জানাই। এখনই সেখান থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা উচিত। কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি না দিলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এই অপরাধের বিচার হবে।'
অন্যদিকে ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এতে অন্তত ২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া আগামী সপ্তাহে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে সফর করতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার মাইক জনসন।