স্কুলের বারান্দায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়ে হেঁটে যান বাবা। দক্ষিণ গাজার আল নাজলাহ প্রাথমিক স্কুলের দৃশ্য এরকমই। গাজায় হামলার পর এই স্কুলে আশ্রয় নেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। তবে তারা জানতেন না শত্রুর বোমা সন্ত্রাসবাদী আর নিরীহ মানুষের ফারাক বোঝে না।
তারা বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই দিন কাটাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনি। সম্ভবত ড্রোন হামলা। এ সময় স্কুল প্রাঙ্গণে যারা ছিল বোমার আঘাতে তাদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। রুটি বানানো হচ্ছিল। যে শিশুটি খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল, সে শহীদ হয়েছে।
তারা আরও বলেন, এই যুদ্ধের সাথে শিশুদের কি সম্পর্ক? ইসরাইলি সেনারা আমাদের ঘরছাড়া করেছে। এখানে আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের রেহাই দিন। জানি না কোন অপরাধে আমাদের শরীর ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হচ্ছে?
জমাট বাঁধা রক্তের দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকে অবুঝ শিশুরা। সবার চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। জাবালিয়া, জেনিনসহ গাজার বেশ কিছু শহরের শরণার্থী শিবিরে পর পর হামলা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে কোথাও নিরাপদ নয় ফিলিস্তিনিরা।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনাকে আটকের দাবি করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড। যদিও সেনা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করছে ইসরাইল।
অন্যদিকে প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়েছে ইসরাইলের অ্যাশডড উপকূলে নির্মিত যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী জেটি। এসময় জেটিতে ভেরানো চারটি ত্রাণবাহী জাহাজ নোঙ্গর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে ইসরাইলি নৌবাহিনীর সহায়তায় দুটি জাহাজ উদ্ধার করে আবারও উপকূলে ফেরানো হয়েছে। গাজায় বিকল্প পথে ত্রাণ পৌঁছাতে অস্থায়ী এই জেটি বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।