মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ ছড়িয়েছে ইউরোপেও
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন চলছে সমাবর্তনের প্রস্তুতি, তখন আন্দোলনে থেকে নাশকতা ছড়ানোর শঙ্কায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ শুরু হলেও যুদ্ধবিরোধীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

'ফ্রম দ্য রিভার ট্যু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি' স্লোগানে মুখর যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ বল প্রয়োগ করছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ জানানো হলেও, আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত কয়েক সপ্তাহে দেশটির অন্তত ২৫টি অঙ্গরাজ্যে ৪০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভরত প্রায় ২ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, গাজায় ইসরায়েলি সেনারা যে নৃশংস গণহত্যা চলাচ্ছে তা ক্ষমার অযোগ্য। শিশু-কিশোর-তরুণ-বৃদ্ধ কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজকে ক্যাম্পাসে এসেছি, কালকে আবার আসবো। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জীবিত। গোটা পৃথিবী তাদের সমর্থন করছে। বুঝতে পারছি, এই সংগ্রামে আমরা একা নই।

গত কয়েক সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার অন্তত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা। ব্রিসবেনের কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে শহরের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনকারীরা।

যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রান্সের সায়েন্স পো, ভারতের জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইসরাইলকে সামনে রেখে ইহুদি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হলেও, বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

এভিএস