গেল সপ্তাহ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে দেন-দরবার চালাচ্ছে ইসরাইল ও হামাস। নেতানিয়াহু সরকারের প্রস্তাবটিতে বলা হয় জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলে ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তি ও ৬ সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির দেখা পাবে উপত্যকার বাসিন্দারা। যদিও প্রথম থেকেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছিল হামাস।
তবে ইসরাইলের প্রস্তাবে রাজি নয় হামাস। বুধবার সংগঠনটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ওসমান হামাদান জানান, চলমান আলোচনায় হামাসের অবস্থান নেতিবাচক। যদিও যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে যাবার পক্ষে তারা।
ইসরাইল সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে নেতানিয়াহু জানান, রাফায় স্থল অভিযানের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পাল্টাবে না ইসরাইল। অপরদিকে অভিযান আটকাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন অর্ধশতাধিক ডেমোক্রেট সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিঙ্কেন জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নির্ভর করছে হামাসের ওপর। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেও দেখানো হয়েছে একই যুক্তি।
তিনি বলেন, 'এখন হামাসের ওপর সব নির্ভর করছে। হামাসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা গাজাবাসীর কথা চিন্তা করে প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে কি না। দেরি করার সময় নেই। তাদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করা উচিত।'
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারিন জ্যাঁ পিয়েরে বলেন, 'হামাসের পক্ষ থেকে আমরা এখনো কোনো জবাব পাইনি। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণের জন্য হামাসকে বোঝানোর চেষ্টা চালাতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের অংশীদারেরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।'
প্রায় ৭ মাসব্যাপী যুদ্ধে প্রথমবারের মতো উত্তর গাজার বেইত হানুন ক্রসিং খুলেছে ইসরাইল। বুধবার ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করেছে ৩১টি ত্রাণবাহী ট্রাক। তবে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের হামলার শিকার হয়েছে কয়েকটি ট্রাক। জাতিসংঘ বলছে, গেল এপ্রিলে উত্তর গাজায় সংস্থাটির ৪৪ শতাংশ ত্রাণ কার্যক্রম ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বাধার শিকার হয়েছে।
সড়কের পাশাপাশি সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসের মধ্যেই সমুদ্র পথে ত্রাণ পৌঁছানোর আশা পেন্টাগনের।