মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

গাজা উপত্যকায় নেই ঈদ আনন্দ

ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষুধা ও প্রিয়জন হারানোর বেদনার মাঝে ঈদ পালন করছে গাজাবাসী। যুদ্ধের কারণে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসবে উপত্যকা হারিয়েছে তার জৌলুস। ইসরাইলের কড়াকড়িতে আল আকসা মসজিদে ঈদের নামাজে উপস্থিতি কম ছিলো ফিলিস্তিনিদের।

একবছর আগেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ঈদের নামাজের জন্য খোলা মাঠে জমায়েত হতেন মুসল্লিরা। নামাজের পর্ব শেষে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াতো শিশুরা। যাদের বিতরণ করা হতো নানা মুখরোচক খাবার।

বছর ঘুরে উপত্যকায় আবার ঈদ এলেও আসেনি খুশি। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়তে বের হোন মুসল্লিরা। খোলা ময়দানের বদলে গাজাবাসীরা নামাজ পড়েছেন ধ্বংসস্তূপের মাঝে। তবুও আলিঙ্গনের মাধ্যমে খুশি ছড়িয়ে দিতে চান ফিলিস্তিনিরা।

গাজার মুসল্লিরা বলেন, এভাবে ঈদ করা আমাদের জন্য হৃদয় বিদারক। গত ঈদে সন্তানদের সঙ্গে খুবই খুশি ছিলাম। এবার আমি নিজ পায়ে হাঁটতেও পারছিনা। গত ৬ মাস আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক ছিলো। তবে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে ঈদের দিন আমাদের খুশি থাকতে হবে।

দুর্ভিক্ষপীড়িত উপত্যকায় পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ পদ তৈরি করার চেষ্টা করছেন নারীরা। বেঁচে থাকার তাগিদে অতিরিক্ত খাবার বিক্রি করছেন বাজারে। ৬ মাসব্যাপী যুদ্ধে গাজায় স্বজনহারা হয়েছেন হাজারও পরিবার। তাই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিনে হারানো প্রিয়জনদের কবর জিয়ারতে শামিল হয়েছেন গাজাবাসী।

গাজার এক বাসিন্দা বলেন, গত বছর ঈদে আমার সন্তান আমার পাশে ছিলো। তবে এবার জীবন থেকে সব চলে গেছে। আমাদের ধৈর্যশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। হৃদয়ে বড় এক ক্ষত নিয়ে এবার ঈদ করতে হচ্ছে।

প্রতিবছরের মতো মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে জড়ো হোন হাজারও ফিলিস্তিনি। তবে ইসরাইলের কড়াকড়িতে এবার মুসল্লিদের সংখ্যা ছিলো তুলনামূলক কম। গতবছর আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে ঈদের নামাজ পড়েন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি।