মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

মিশরে অস্থির খেজুরসহ নিত্যপণ্যের বাজার

পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে মিশরে অস্থির খেজুরসহ নিত্যপণ্যের বাজার। অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় পরিমাণে কমিয়ে এই নিত্যপণ্য কিনছেন মিশরীয়রা। গেল বছর যেই খেজুর বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিশরীয় পাউন্ডে, বছর ব্যবধানে ৪০ থেকে ৮০, কোন কোন বাজারে ১২০ মিশরীয় পাউন্ডে পৌঁছেছে এই পণ্যের দাম।

'খেজুরের দাম যদি ১ হাজার মিশরীয় পাউন্ড হয়, তবুও সাধারণ মানুষ খেজুর কিনবে, কারণ তারা খেজুর ভালোবাসে, আর পবিত্র রমজান মাসে মিশরে এই নিত্যপণ্যের চাহিদা বাড়ে।'

বছর ব্যবধানে খেজুরের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় আক্ষেপ করছিলেন মিশরের এক খেজুর ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ খেজুর কিনতে পারছে না। আর দোকানিরা বিক্রিও করতে পারছে না। যারা এতিমখানার জন্য খেজুর কিনছেন, তাদের কাছে লোকসানেই বিক্রি করতে হচ্ছে। খেজুর বিক্রি হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক কম।

বিক্রেতা আরও বলেন, 'খেজুরের চাহিদা সবসময় বেশি। যদি দাম ১ হাজার পাউন্ডও হয়, তবু মানুষ কিনবে। কিন্তু আগে যারা ৫০ কেজি কিনতো, এখন ৫ কেজি কিনে। রমজানের আগে আমরা ৫০ টন খেজুর বিক্রি করতাম, এইবার এখনও ২০ টনও বিক্রি করতে পারিনি।'

মিশরে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে পবিত্র রমজানে খেজুরের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বছর ব্যবধানে তাই খেজুর কেনার পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছেন মিশরীয়রা। গত দুই বছরে অনেক নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিলো ৩৮ শতাংশ। জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ২৯ শতাংশে নামলেও স্বস্তি ফেরেনি বাজারে।

ক্রেতারা বলছেন, 'আগে যারা এক কেজি খেজুর কিনতো, এখন তারা আধা কেজি কিনে। তাও কষ্ট করে। শুধু রমজানের জন্য কিনছি। কিন্তু মনে হচ্ছে আগেই শেষ হয়ে যাবে।'

আরেকজন ক্রেতা বলেন, 'এই বছর সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। যেই খেজুর আগে ১০ পাউন্ডে কিনতাম, সেটা এখন ২০-২৫ পাউন্ড। খেজুরের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগে ৫ কেজি কিনলে এখন ২ কেজি কিনবো।  অনেকে আগে ১০ কেজি কিনলেও এখন ৫ কেজিও কিনতে পারছে না।'

বিশ্লেষকরা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে বেশিরভাগ নিত্যপণ্য মজুত করে রাখা হয়েছে যেন চাপ পড়ে বাজারে। এরমধ্যেই ডলারের বিপরীতে কমে গেছে মিশরীয় পাউন্ডের মান। এক ডলারে মিলছে প্রায় ৫০ মিশরীয় পাউন্ড। মুদ্রার মান কমায় স্থানীয় বাজারে সামনে আরও চাপ পড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।

ইএ