তপ্ত মরুর বুকে এখন নিয়মিত চাষাবাদ হচ্ছে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমতল অঞ্চলে শীত মৌসুমে কৃষিকাজ বেড়ে যায়। এসময় স্থানীয়দের মালিকানাধীন জমিতে চাষাবাদের কাজ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অংশ।
এক দশকের বেশি সময় আমিরাতের একটি বাগানে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার নাজিম উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন কাজ করেন। প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা করে বেতন পান, বছরের প্রায় আট মাস তারা চাষাবাদের কাজে ব্যস্ত থাকেন।
নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখানে সব ধরনের সবজি উৎপাদন করি। আর মালিক আমাদেরকে সহযোগিতা করেন।’
একসময় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিয়ে কল্পনা করলে চোখে ভাসতো তপ্ত মরুভূমি অঞ্চল। অথচ এই পরিস্থিতিকে জয় করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এখন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের সমতল ভূমিতে নিয়মিত চাষাবাদ হচ্ছে।
শীত মৌসুমে দেশটিতে খোলা বাগানে চাষাবাদ হয়। বাকি সময় গ্রিন হাউজে সবজি ও ফলসহ কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করেন কৃষকরা। গ্রিন হাউজে তুলনামূলক উৎপাদন বেশি হয়। সেখানে মূল্যবান ত্বীন ফল, শসা, ক্যাপসিকাম, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর ও ধনিয়া পাতাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কৃষিপণ্য চাষ হয়।
বাংলাদেশি এক প্রবাসী বলেন, ‘আমরা ৮ জন বাংলাদেশি একসঙ্গে কাজ করি। এছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা এখানকার বাগানে কাজ করেন।’
অধিকাংশ বাগানের মালিকানায় রয়েছেন স্থানীয়রা। মূলত তাদের অধীনে বেতনভুক্ত হয়ে কাজ করেন এশিয়ান শ্রমিকরা। কৃষকদের উৎসাহিত করতে বড় বড় সবজি বাজারের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবেও বাজার বসানো হয়।
চাহিদা পূরণে উৎপাদনের পরও বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষিপণ্য আমদানি করে আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান, ইরান, সৌদি আরবসহ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এই তালিকায় বাংলাদেশেরও নাম রয়েছে।