জ্বালানি খাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার দুর্নীতির খবরে ক্ষুব্ধ ইউক্রেনীয়রা

ইউক্রেনের জ্বালানি খাতের একটি অংশ | ছবি: সংগৃহীত
0

রুশ আক্রমণে নাজেহাল অবস্থার মধ্যেই দেশের জ্বালানি খাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার দুর্নীতির খবরে ক্ষুব্ধ সাধারণ ইউক্রেনীয়রা। এমন পরিস্থিতিতে সাবেক জ্বালানি মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার পর পদত্যাগ করেছেন দেশটির বর্তমান জ্বালানি মন্ত্রী। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে চলমান দুর্নীতি তদন্তে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সহযোগিতা করতে নিজ প্রশাসনকে নির্দেশ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।

ইউক্রেনের জ্বালানি সরবরাহ খাতকে টার্গেট করে সম্প্রতি হামলার মাত্রা বাড়াচ্ছে রুশ বাহিনী। তাই এবারের শীত মৌসুমেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ইউক্রেনীয়রা। এরইমধ্যেই সামনে এলো দেশটির জ্বালানি খাতে দুর্নীতির খবর। ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঘুষের অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যেও দেশের জ্বালানি খাতের এ কেলেঙ্কারির খবরে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। জেলেনস্কি প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ যেমন ঝেড়েছেন, তেমনি দেশের সুনাম নষ্ট হওয়া নিয়েও উদ্বিগ্ন অনেকে।

স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের আইনের শাসন আছে তা প্রমাণ করতে হবে। দোষীদের কারাগারে পাঠাতে হবে।’

অন্য একজন বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, আর তারা দায়িত্বে থেকে পকেট ভরছে। এ দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে।’

ইউক্রেনের একজন বলেন, ‘এ দুর্নীতি কেবল রাষ্ট্রেরই নয়, আন্তর্জাতিক মর্যাদা এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্কেরও ক্ষতি করে।’

আরও পড়ুন:

জনগণের ক্ষোভের মুখে এরইমধ্যে সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী গালুশ চেঙ্কোরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, গালুশচেঙ্কো চার বছর জ্বালানি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বর্তমান জ্বালানি মন্ত্রী স্বিতলানা গ্রিনচুকও।

জ্বালানি খাতে সর্বাধিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দুর্নীতির তদন্তে সব দিক দিয়ে সহযোগিতার জন্য মন্ত্রীসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ‘জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার তদন্তকে আমি সমর্থন জানাচ্ছি। পাশাপাশি ইউক্রেনের মন্ত্রীসভাকে এ তদন্তে এবং আইনি পদক্ষেপে পূর্ণ সহায়তা করার নির্দেশ দিচ্ছি।’

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যে সবশেষ জ্বালানি খাত ছাড়াও জেলেনস্কি প্রশাসনের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ অন্যতম।

এসএস