ইউরোপীয় অঞ্চলকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর। বিশালাকার একেকটি হিমবাহ বছরের পর বছর ধরে অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা করে যাচ্ছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে বেড়েছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। এতে গলতে শুরু করেছে হিমবাহগুলো। ফলে পরিবর্তন হচ্ছে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের স্রোতের গতিপথ। এতে করে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে পুরো ব্যবস্থা। এ পরিস্থিতিকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু মনে করছে আইসল্যান্ড।
পরিবেশবিদ আসা বার্গলিন্ড বলেন, ‘আমরা যদি এখনই কার্বন নিঃসরণে যথাযথ পদক্ষেপ না নেই, সমুদ্রের স্রোতের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। এতে সাগরের কারণে জলবায়ুর যে উষ্ণতা তা কমে আসবে। ইউরোপীয় অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে, যা আইসল্যান্ডের জন্য বড় হুমকি।’
আরও পড়ুন:
উত্তর আটলান্টিকের এ স্রোত উষ্ণ জলকে বিষুব রেখা থেকে উত্তর মেরুর দিকে নিয়ে যায়। যার ফলে ইউরোপের শীত তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকে। তবে এখন যদি তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত আর্কটিক অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করে, স্রোতের ভারসাম্য দ্রুতই ধ্বংস হতে পারে।
আর যদি এ স্রোত একদিন পুরোপুরি ভেঙে পড়ে, তাহলে ইউরোপে শুরু হতে পারে আধুনিক যুগের এক নতুন বরফযুগ। উত্তর ইউরোপে তাপমাত্রা হঠাৎ-ই নেমে যেতে পারে চরম নিম্ন পর্যায়ে। বরফ ও তুষারপাতে অচল হয়ে যেতে পারে সেখানকার জীবনযাত্রা।
বিজ্ঞানীরা বলছে, স্রোত ভেঙে পড়লে শুধু ইউরোপ নয়, আফ্রিকা, ভারত ও দক্ষিণ আমেরিকার কৃষির ওপরও ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে। বৃষ্টিপাতের ধারা বদলে যেতে পারে, হুমকিতে পড়বে কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা।




