ইইউ নিষেধাজ্ঞায় অনিশ্চয়তায় ট্রাম্প-পুতিনের হাঙ্গেরি বৈঠক

ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশসীমায় রুশ প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সংশয় দেখা দিয়েছে হাঙ্গেরিতে ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক নিয়ে। এক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ইইউ থেকে পুতিনের জন্য অনুমতি নেন সেক্ষেত্রেই কেবল পুতিন হাঙ্গেরিতে যেতে পারবেন বলে মত বিশ্লেষকদের।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রথমবার আলাস্কায় সাক্ষাৎ করলেও এবার ইউরোপের হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে এই দুই নেতার।

হাঙ্গেরি স্থলবেষ্টিত দেশ হওয়ায় রুশ প্রেসিডেন্টকে ইউরোপের আকাশ দিয়ে উড়ে আসতে হবে সেখানে। এক্ষেত্রে দুটি পথ অবলম্বন করতে পারে পুতিনকে বহনকারী বিমান। পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া দিয়ে হাঙ্গেরি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তিন থেকে চার ঘণ্টায় সময় লাগতে পারে। অপরদিকে কৃষ্ণসাগর হয়ে রোমানিয়া দিয়ে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এর দ্বিগুণের বেশি সময় লাগবে।

তবে পুতিন যেভাবেই হাঙ্গেরিতে পৌঁছান না কেন, এক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আকাশসীমায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ইউক্রেনে হামলা চালানোর জেরে রুশ বিমানের জন্য এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমারা।

আরও পড়ুন:

ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোরের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ইয়ান পেটচেনক বলেন, ‘রাশিয়ার বিমানের ক্ষেত্রে ইইউর আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইউক্রেনে পুরোদমে আগ্রাসন চালানোর পরই এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। হাঙ্গেরিতে পৌঁছাতে হলে পুতিনকে বহনকারী বিমান অবশ্যই ইইউর আকাশসীমার ওপর দিয়েই যেতে হবে।’

এক্ষেত্রে বুদাপেস্টে যেতে হলে পুতিনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিতে হবে বিশেষ অনুমতি। অন্যথায় পুতিনের হাঙ্গেরি সফর অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তবে ট্রাম্প যদি চান ইইউ অনুমতি দেবে। যদিও এক্ষেত্রে রাশিয়াকেও কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

ইয়ান পেটচেনক বলেন, ‘ইউরোপের আকাশ উড়তে হলে পুতিনকে অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে মস্কোকে। ইইউ যদি অনুমোদন দেয়, তবেই কেবল সম্ভব।’

হাঙ্গেরিতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও তা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।

এসএস