ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পর্যবেক্ষণে ওয়াশিংটনকে আহ্বান জেলেনস্কির

ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পর ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি ক্রেমলিনের। তবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের দাবি, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে হামলা চালাচ্ছে মস্কো। যা পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়াশিংটনকে আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে রাশিয়া কুরস্ক বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বলে দাবি রুশ প্রেসিডেন্টের।

যুদ্ধবিরতি, সীমানা পুনঃনির্ধারণ ও সম্পদ বণ্টন নিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার ফোনালাপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ফলাফল, ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা না চালানোর বিষয়ে রাশিয়ার সম্মতি।

তবে প্রতিশ্রুতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই দেশের জ্বালানি স্থাপনায় চালানো হয়েছে পাল্টাপাল্টি হামলা। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের এই অস্ত্রবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, কুরস্কে বিজয় অর্জনের পথে মস্কো।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, 'কুরস্কে আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। যে সকল ইউক্রেনীয় সেনা ও বিদেশি যোদ্ধা আমাদের দেশে প্রবেশ করে জনসাধারণের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে আইন মোতাবেক বিচার করা হবে।'

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, 'প্রতিশ্রুতির রাতেই ১৫০টি ড্রোনের মাধ্যমে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই অস্ত্রবিরতি ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিতের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রকে নিতে হবে। রাশিয়া যদি আমাদের স্থাপনায় হামলা না চালায়, বিপরীতে তাদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হবে।'

যুদ্ধ কিংবা বিরতি, ফল যেটাই আসুক না কেনো, ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাজ্য ও ইতালি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, 'ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপের বিষয়ে আমি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছি। এসময় ইউক্রেনীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি।'

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, 'ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় রাশিয়ার হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করবে। আশা করছি, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ফিরবে।'

যদিও রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস নেই ইউক্রেনীয়দের। তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা পুতিনের ধাপ্পাবাজি। অন্যদিকে জ্বালানি স্থাপনায় ৩০ দিনের জন্য হামলা বন্ধে সম্মতিকে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রথম ধাপ হিসেবে মনে করছেন রাশিয়ানরা।

রাশিয়ার স্থানীয় একজন বলেন, 'প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্মতিতে কূটনীতির দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সুসংবাদ পাবো।'

ইউক্রেনে স্থায়ীভাবে বসবাসকারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'এগুলো পুতিনের ধাপ্পাবাজি। ট্রাম্প তাকে ছাড় দিচ্ছেন। এ সুযোগে পুতিন ভালো মানুষের মুখোশ পড়েছেন।'

ক্রেমলিনের দাবি, ফোনালাপের পর পুতিনের নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা। মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট পরস্পরকে বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ।

এসএস