আজ ইউক্রেন বিষয়ে ফোনালাপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন

আজ ইউক্রেন বিষয়ে ফোনালাপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন | এখন টিভি
0

ইউক্রেন ইস্যুতে আজ (মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ) ফোনালাপ করতে যাচ্ছেন মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও এজেন্ডা জানানো হয়নি। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, সীমানা পুনঃনির্ধারণের পাশাপাশি ফোনালাপে প্রাধান্য পাবে দুই দেশের সীমান্ত সংলগ্ন জ্বালানি স্থাপনা ও সম্পদ বণ্টনের বিষয়।

৩৭ মাসের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে মঙ্গলবার বড় ধরনের মোড় দেখতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। কারণ আজই এই ইস্যুতে কথা বলতে যাচ্ছেন দুই দেশের প্রেসিডেন্ট। গতকাল (সোমবার, ১৭ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানান, দুই নেতার মধ্যে কথা হবে ফোনে। যদিও আলোচনার এজেন্ডা এখনও জানানো হয়নি।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, 'মঙ্গলবার দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে ফোনালাপ হতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আলোচনার এজেন্ডা চূড়ান্ত হয়নি। তাই আগ বাড়িয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।'

এর আগে সম্ভাব্য ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানান, আলোচনার মূল বিষয় ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমানা পুনঃনির্ধারণ। ফোনালাপে প্রাধান্য পাবে সীমান্ত সংলগ্ন জ্বালানি স্থাপনা ও সম্পদ বণ্টনের বিষয়। হোয়াইট হাউজ মুখপাত্রের দাবি, শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবারের মতো কখনোই অগ্রগতি হয়নি।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, 'রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তে একটি জ্বালানি স্থাপনা রয়েছে। এ বিষয়ে ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ বিষয়টি ফোনালাপে পুতিনকে জানাবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।'

তবে যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে রাশিয়ার শর্তগুলোই বলে দিচ্ছে পুতিন শান্তি চান না। ইইউ'র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে এই অভিযোগ করেন জোটটির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান। জানান, রুশ প্রেসিডেন্টের সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা মেনে নিবে না ইউরোপ।

ইইউ'র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কাল্লাস বলেন, 'রাশিয়া যে শর্তগুলো উপস্থাপন করেছে, সেটি বলে দিচ্ছে তারা শান্তি চায় না। সত্যি বলতে, যুদ্ধ থেকে রাশিয়া যে বিষয়গুলো অর্জন করতে চায়, সেগুলোই যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।'

বিশ্বের দুই পরাশক্তির সরকারপ্রধানের মধ্যকার ফোনালাপ শান্তি ফেরাতে পারবে কী না, তা নিয়ে সন্দিহান ইউক্রেনীয়রা। কিয়েভের বাসিন্দাদের দাবি, ইউক্রেনকে ছাড়া শান্তি আলোচনা সুফল বয়ে আনবে না। এছাড়াও পুতিন ভরসার পাত্র নন বলে দাবি তাদের।

ইউক্রেনে স্থানীয়ভাবে বসবাসকারীদের একজন বলেন, 'আমরা শান্তি থেকে এক কদম দূরে, বিষয়টি মিথ্যা। কারণ আমাদের ছাড়া আলোচনার মানেই হয় না।'

অন্য একজন বলেন, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা ভ্লাদিমির পুতিন, কাউকেই ভরসা করতে পারছি না।'

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পুতিনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পার্লামেন্টে এমনটাই দাবি করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, রাশিয়াকে বশে আনার জন্য যুক্তরাজ্যের হাতে এখনো অনেক তুরুপের তাস রয়েছে।

এসএস