ট্রান্স আটলান্টিক সম্পর্ক বাঁচাতে ট্রাম্পের দরবারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

ভাঙ্গনের মুখে থাকা ট্রান্স আটলান্টিক সম্পর্ক বাঁচাতে এবার ট্রাম্পের দরবারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই ক্রমশ শীতল হচ্ছে ট্রান্স আটলান্টিক সম্পর্ক। ইইউর পণ্যে আমদানি শুল্ক কার্যকরের পাশাপাশি আলোচনায় রয়েছে এতে যুক্তরাজ্যের নাম যুক্ত করার প্রসঙ্গও। অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া বৈঠকে বসলেও বাদ পড়ে ইউক্রেন এমনকি ইউরোপের দেশগুলো। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফর নিয়ে আশায় বুক বেধেছে ইউরোপবাসী।

ওয়াশিংটনে পৌঁছেই কিয়ার স্টারমার সাক্ষাৎ করেন ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে। যেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক যেকোনো কিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের সফরে যা আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, 'আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হলো দু’দেশই গণতন্ত্র, মুক্ত বাকচর্চা, স্বাধীনতা ও ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার নতুন অংশীদারিত্ব শুরু করতে চাই। আমাদের সুদিন সামনে পড়ে আছে।'

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশত্যাগের আগে স্টারমারের পার্লামেন্ট ভাষণে উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ। পুতিনের আগ্রাসন রোধে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনায় ইউক্রেনকে যুক্ত করা প্রয়োজন। এছাড়াও ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্টারমার।

তিনি বলেন, 'ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকা প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়নে আমরা নিজেদের কাজ করে যাবো। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া পুতিনকে আটকানো সম্ভব হবে না। ইউক্রেনীয়, ইউরোপীয় ও ব্রিটিশদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউক্রেন ও ইউরোপের জন্য দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রয়োজন।'

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর দুই দেশের রাজনৈতিক শিষ্টাচারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তবে ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য তিনটি। পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দূরত্ব তৈরি, ইউক্রেনের জন্য মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি ও ট্রান্স আটলান্টিক সম্পর্ক বাঁচানো। আর তাই স্টারমারের ওয়াশিংটন সফর ও ট্রাম্পের তার প্রথম সাক্ষাৎকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে জটিল সফর হিসেবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এসএস