নব্য সাম্রাজ্যবাদের নীতি বাস্তবায়নের পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর গাজা উপত্যকা, পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড দখলে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে এই হুমকি থেকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দোরগোড়ায় রিপাবলিকান সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১১ মার্চ নিজেদের পরবর্তী নেতা বেছে নিতে ভোট যুদ্ধে নিজেদের রায় দিবেন আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির বাসিন্দারা।
যেখানে প্রাধান্য পাচ্ছে মার্কিন আগ্রাসন থেকে সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রসঙ্গ। ইতোমধ্যেই চলতি সপ্তাহে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে রাজনৈতিক দলে অর্থায়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবাসন ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপের বিষয়েও চলছে আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দিচ্ছেন রাজনীতিবিদরা।
আইএ পার্টির নেতা অরোরা জেনসেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের মাঝখানে পড়ে গেছি। তাই আমাদের একতা জরুরি। আমরা ডেনমার্ক কিংডমের অংশ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সুচিন্তিত হওয়া প্রয়োজন।’
সিমুট পার্টির নেতা এরিক জেনসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচন খুবই জরুরি ছিলো। জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের রায় তুলে ধরতে পারবে। তাই দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিন ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি জনগণের প্রতি কেন্দ্রে আসার আহ্বান রইলো।’
ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় আবারো সামনে আসছে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপটিতে রাজনৈতিক দল ৫টি। যার মধ্যে ক্ষমতাসীন সহ ৫টি দলই স্বাধীনতার পক্ষে। যদিও কীভাবে লক্ষ্য অর্জন করা যায়, এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। অবিলম্বে ডেনমার্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে স্বাধীনতা ঘোষণার পক্ষে প্রধান বিরোধী দল নালেরাক।
নালেরাক পার্টির নেতা পেলে ব্রোবার্গ, ‘গেল সপ্তাহে আমরা নির্বাচনি কৌশলের ৫টি স্তম্ভ উপস্থাপন করেছি। এটি যদি সংক্ষেপে বলতে চাই, সেক্ষেত্রে প্রথমেই চলে আসবে ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা অর্জনের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি।’
ভেরিয়ানের সাম্প্রতিক জন জরিপ বলছে, গ্রিনল্যান্ডের বেশিরভাগ মানুষই স্বাধীনতার পক্ষে। ২০০৯ সালে গণভোটের মাধ্যমে দ্বীপটিকে স্বাধীনতা ঘোষণা করার অধিকার দেয় ডেনমার্ক। যদিও ট্রাম্পের হুমকির পর আর্কটিক অঞ্চলটিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে ২শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী।
যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটি হাতছাড়া করতে নারাজ কোপেনহেগেন। এমন পরিস্থিতিতে ৫৭ হাজার মানুষের জন্য কী পরিণতি অপেক্ষা করছে, তার জন্য অপেক্ষা করতে আরও কয়েকদিন।