রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানটি ভূপাতিত করায় কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হয়েছে। তদন্ত জ্ঞান থাকা আজারবাইজানের চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিধ্বস্ত হওয়ার সময়কার একটি ছবিও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিমান বিধ্বস্তে বহু হতাহতের ঘটনায় ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। কারণ উড়োজাহাজটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে দাবি রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। অন্য সূত্র বলছে, অঞ্চলটিতে সম্প্রতি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাশিয়া। আজারবাইজান এয়ারলাইন্সটিকে ইউক্রেনের ড্রোন ভেবে গুলি ছুড়লে বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত বিমানের প্রকাশিত ছবিতে গুলির চিহ্নও দেখা গেছে।
এদিকে কাজাখস্তানে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠন করেছে আজারবাইজান। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কাজাখস্তানকে সব ধরনের সহায়তায়ও সম্মত এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
আজারবাইজান প্রসিকিউটর অফিসের প্রতিনিধি কায়ানান জেইনালভ বলেন, ‘কাজাখ প্রসিকিউটর অফিসের যৌথ উদ্যোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। কোনো সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেয়া হচ্ছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে এত আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা উচিত হবে না।’
এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীদের বেঁচে ফিরে আসার সম্ভাবনা যেখানে খুবই ক্ষীণ, সেখানে কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের অন্তত অর্ধেক যাত্রীকে জীবিত উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেছে রুশ গণমাধ্যম আরটি। বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে ৬২ যাত্রী ও ৫ ক্রুকে নিয়ে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বিমানটি কাজাখস্তানের জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।