স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছেন হাজার হাজার মার্কিনি

উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি কর্মী ছাঁটাই প্রকল্পের কারণে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছেন হাজার হাজার মার্কিন নাগরিব। চাকরি চলে যাওয়ার চেয়ে ছেড়ে দিয়ে কয়েক মাসের বেতন নিয়ে অন্য বেসরকারি চাকরি খোঁজাকেই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন তারা।

ক্যালিফোর্নিয়ার ২৭ বছর বয়সী জর্ডাইন সোলিসর অবসর নেয়ার বয়সের এখনও বহু দেরি। এরপরও অব্যাহতি দিচ্ছেন কর্মস্থল থেকে। গ্রহণ করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাইআউট প্রোগ্রাম। কারণ তিনি শুনেছেন, সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের জ্বালানি কর প্রকল্প বন্ধই হয়ে যেতে পারে।

হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়ার চেয়ে চাকরি ছেড়ে দেয়াকেই বুদ্ধিমানের বলে মনে করছেন তিনি। পাচ্ছেন স্বল্প পরিমাণে পেনশনও। এরপর চাকরি খুঁজবেন বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে। ভিন্ন উপায়ে সরকারি কর্মীদের গণহারে ছাঁটাইয়ের ট্রাম্পের এমন অভিনব উদ্যোগের সমালোচনাও করেন তিনি।

এদিকে ভার্জিনিয়ার ৩৭ বছর বয়সী কনস্টেনটাইন কিরিয়াকাউ, কাজ করছেন পররাষ্ট্র দপ্তরে। তিনিও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার অফার গ্রহণ করবেন। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট থেকে চাকরি চলে গেছে তার স্ত্রীর।

কিন্তু আবেদন করার আগেই শেষ হয়ে গেছে অফারের মেয়াদ। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন তিনি। কারণ যেকোনো সময় চাকরি চলে যেতে পারে তার। স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিয়ে সাত থেকে আট মাসের বেতন পাওয়া আর হলো না তার।

স্বেচ্ছায় সরকারি সুবিধা নিয়ে চাকরি ছাড়া, না হয় হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়া, এই দোটানার মধ্যেই পড়ে গেছেন হাজার হাজার মার্কিন সরকারি আর বেসামরিক কর্মী। এখন পর্যন্ত সরকারি ৭৫ হাজার কর্মী ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়া আর পেনশন নেয়ার অফার গ্রহণ করেছেন।

ক্ষমতায় এসে পুরো দেশে সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের নতুন পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ২৩ লাখ সরকারি কর্মীকে দিয়েছেন চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে আট মাসের বেতন পাওয়ার সুযোগ। অনেকে চাকরি ছাড়ছেন বাধ্য হয়ে, অনেকের হয়েছেন অবসরে যাওয়ার সময়, অনেকে আবার বেসরকারি ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আশায় ছেড়ে দিচ্ছেন সরকারি চাকরি।

গেলো ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যেই ব্যক্তি দেশকে নিরাপদ রাখেন, তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেন না।

এসএস