লামিয়া চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার একটি লাইভও করেন। ওই লাইভে লামিয়ার গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যায়। ভিডিওতে লামিয়া বলছিলেন, তার পা ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি হাঁটতে পারছেন না। তার গাড়িও ভাঙা হয়েছে।
স্বজনরা জানায়, লামিয়ার মামা টিপু সুলতান অন্তত ৯ বছর আগে মারা গেছেন। তবে তার পরিবারের সাথে লামিয়াদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। শনিবার বিচার-সালিশ বসানো হয়। ওই সময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষই হাতাহাতিতে জড়ান। তখন লামিয়ার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
যদিও পাল্টা অভিযোগ করেছেন লামিয়ার প্রয়াত ছোট মামার স্ত্রী লায়লা লুৎফুন্নাহার শারমিন প্রীতি। তার দাবি, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিচারে লোকজন নিয়ে এসে তার (প্রীতি) ওপর হামলা চালিয়েছেন লামিয়া।
লামিয়ার মামি প্রীতি বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছে ৯ বছর। আমার স্বামীর নামে ৩৮ শতাংশ জমি আছে। আমি আমার দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করি। আমার একটা ছেলে অটিস্টিক। আমার স্বামীর জমি দখল করতে চায় লামিয়ারা। এ নিয়ে সালিশ বসলে লামিয়া ঢাকা থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালায়।’
আহত অবস্থায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বলেও জানান প্রীতি। তবে, লামিয়ার সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়নি।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, ‘মামাদের সাথে লামিয়াদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ওই বিষয়ে আজ (শনিবার) একটি সালিশও বসছিল, তখন উত্তেজনা তৈরি হয়। তখন লামিয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে। বিষয়টি নিজেদের মধ্যেই হয়েছে।’
তবে, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই এই ঘটনায় লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেননি জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। কিন্তু লামিয়া এই ঘটনার পরপরই ঢাকায় চলে গেছেন বলে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’