‘সময়ের কারণে সবাইকে বলতে পারি নাই, বিদায় বাংলাদেশ।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ পোস্ট দেয়ার পর মুহূর্তেই এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীরা ভাবছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা বুঝি দেশ ছাড়লেন! কেউ বলছেন মালয়েশিয়ায়, কেউবা দুবাইয়ের কথা বলছিলেন! কিন্তু পুলিশ যা পেল, তা আরো চমকপ্রদ।
‘বিদায় বাংলাদেশ’ স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি আসলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন নিজ বাড়িতেই! অবশেষে অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গেছে, রাজিব অষ্টগ্রাম থানায় নাশকতাসহ তিনটি মামলার আসামি। এসব মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে ছিলেন তিনি।
ঘটনার শুরু ৩১ জানুয়ারি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে থেকে নিজের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন রাজীব আহমেদ হেলু। সেই ছবির ক্যাপশন—‘বিদায় বাংলাদেশ’। স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এলাকায় শুরু হয় নানা আলোচনা। রাজীব কি সত্যিই দেশ ছাড়লেন? তবে সত্যিটা ছিল আরো নাটকীয়। তিনি ছিলেন নিজের মধুরবহাটি এলাকার বাড়িতে।
পুলিশ বেশ কিছুদিন ধরেই খুঁজছিল তাকে। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল (সোমবার) রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তখন তিনি ছিলেন নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে!
অষ্টগ্রাম থানার ওসি মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘রাজীব আহমেদ হেলু নাশকতাসহ তিনটি মামলার পলাতক আসামি। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
জানা গেছে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বণিক সমিতির সভাপতি রাজীব আহমেদ হেলু ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নাশকতার অভিযোগে তিনটি মামলার আসামি হন। মামলা হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ফেসবুক স্ট্যাটাসে রহস্য ছড়াতে গিয়ে ধরা খেলেন ডেভিল হান্ট অভিযানে।