ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আলো ঝলমলে আইকনিক চ্যাম্পস এলিজিস অ্যাভিনিউ। ৪০০ গাছে এলইডি বাতি জ্বালিয়ে রাতকে করে তোলা হয়েছে বর্ণিল।
একজন পর্যটক বলেন, 'এতো উজ্জ্বল! এতো সুন্দর! এ নিয়ে দ্বিতীয় বছর এখানে এসেছি। প্রতি বছরই বড়দিন সামনে রেখে এভাবে আলো জ্বালানো হয় এখানে।'
শুধু চ্যাম্পস এলিজিস নয়, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব- বড়দিন সামনে রেখে প্যারিস গার্ডেনে দর্শকদের স্বাগত জানাচ্ছে ডাইনোসর, প্রাচীন পাখি আর দৈত্যাকৃতির সামুদ্রিক জীব। ২০ কোটি বছর আগের জীবন তুলে ধরতে প্রাগৈতিহাসিক আমলের প্রাণিদের আলোর জীবন দিয়েছে ফ্রান্সের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি।
স্থানীয় একজন বলেন, 'বছরের শেষ উদযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এ আয়োজন। বছরের শেষে বড়দিনের যে আমেজ, এখনই তা পাচ্ছি এ আয়োজনের মাধ্যমে।'
এক মাস বাকি থাকতেই বড়দিনের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াতে ক্রেতাদের জন্য সেজেছে ফ্রান্সের শপিং মলগুলোও।
বড়দিন আসতে দেরি, আনন্দ ছুঁতে দেরি নেই ব্রিটিশ রাজপরিবারকে। চোখজুড়োনো সাজে এরই মধ্যে সেজে উঠেছে উইন্ডসর ক্যাসল।
ইংল্যান্ড রয়্যাল কালেকশন ট্রাস্টের কিউরেটর ক্যাথরিন জোন্স বলেন, 'রাজপরিবারের জাঁকজমক আয়োজনে এ বছর লাল আর স্বর্ণালী রঙ ব্যবহার করেছি আমরা। ক্রিসমান ট্রি'র একদম উপরে একটি তারা জ্বলজ্বল করছে যা ব্রিটেনের সবচেয়ে পুরোনো প্রতীক।'
লন্ডনের বিখ্যাত কিউ গার্ডেন্সও সেজেছে বড়দিনের সাজে। বর্ণিল আলোর খেলা আর সুরের মূর্ছনায় বড়দিনের আগেই উৎসব জেঁকে বসেছে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো এবং ইউনেস্কো'র বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই নয়নাভিরাম বোটনিক্যাল গার্ডেনে।
লন্ডনের কিউ গার্ডেন্সের বাণিজ্যিক প্রধান অ্যাডাম থোও বলেন, 'ক্রিসমাস অ্যাট কিউয়ের দ্বাদশ আয়োজন এটি। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বছরের সবচেয়ে অন্ধকার আর শীতল সময়ে বাগানে দর্শনার্থীদের বিচরণ ধরে রাখতে প্রথম এ আয়োজন শুরু হয়েছিল। আর এখন প্রতি বছর এই সাজসজ্জা দেখতে এখানে হাজার হাজার মানুষের পা পড়ে।'
ব্যতিক্রম নয় লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াসও। বিশ্বখ্যাত এ জাদুঘরে এবারের বড়দিনের চমক- অতিকায় টাইরানোসরাস রেক্সের বড়দিনের সাজ।
যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বড়দিন সামনে রেখে শুরু হয়েছে ভিন্নধর্মী নানা আয়োজন। একেক শহরে একেক রূপে উৎসবের আনন্দ ধরা দিচ্ছে বাসিন্দাদের। নতুন বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতি রাতেই থাকবে এসব আয়োজন।