ইউরোপ
বিদেশে এখন
যুক্তরাষ্ট্রের সব অভিযোগে ভেটো দিয়েছে মস্কো
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা তদারকিতে বিশেষজ্ঞ দলের নবায়ন কার্যক্রমে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ভেটো দিয়েছে মস্কো। এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হাতেনাতে ধরা পড়ার ভয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার মতো অবস্থা হয়েছে রাশিয়ার। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কার্যক্রম তদারকিতে রাশিয়ার সমর্থন না থাকায় এই মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম তদারকিতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ভেটো দেয় রাশিয়া। ১৩ সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও বিরত থাকে চীন।

জাতিসংঘে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জুনকুক হোয়াং বলেন, ‘মনে হচ্ছে ডিপিআরকে'র ব্যালিস্টিক আর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষায় সম্মতি আছে রাশিয়ার। যেন তারা ইউক্রেনে নিরবচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালিয়ে যেতে পারে। জাতিসংঘের নীতি পরিপন্থী এসব। জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে সম্মতি না দেয়া মানেতো নিজের হাতে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার মতো।’

জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসেলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘ডিপিআরকে'র বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে, তাকে সম্মান করি। তবে পশ্চিমারা অনেক দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় আমরা পশ্চিমা নির্ভরতা কমাতে চাই। যেকোনো অস্ত্রহা নিরাপত্তা পরিষদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কথা। সেখানে তারা পশ্চিমাদের প্রতি কোণঠাসা। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার জন্য নিরপেক্ষ অবস্থান নিবে না।’

এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আন্তর্জাতিক শান্তি নষ্ট করতেই প্রস্তাবকে সমর্থন দেয়নি রাশিয়া। মার্কিন পররাষ্ট্র সদর দপ্তর বলছে, ডিপিআরকে সারাবিশ্বে অনেক বেশি কোণঠাসা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘রাশিয়ার ভেটোতে হতাশ আমরা। আরও হতাশ লাগছে, চীন ১৪ বছর এই আদেশের সমর্থন করে এখন ভোট দেয়া থেকে বিরত। রাশিয়ার অবস্থান এখন আন্তর্জাতিক শান্তি নষ্ট করার মতো। উত্তর কোরিয়ার অনৈতিক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র তৈরিতে সমর্থন আছে রাশিয়ার। মস্কো চায়, উত্তর কোরিয়ার তৈরি অস্ত্র যেন ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে তারা।’

এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে কোণঠাসা করতে চেষ্টা অব্যাহত আছে রাশিয়ার। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ন্যাটোর কোনো দেশে রাশিয়া হামলা না করলেও পশ্চিমাদের দেয়া এফ সিক্সটিনসহ সব যুদ্ধবিমান ধ্বংস করবে মস্কো। ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সম্পর্ক।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে পুরোদমে সেনা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে আর নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনকে দিয়েছে এফ সিক্সটিন যুদ্ধবিমান।

এমএসআরএস