ক্রিমিয়া থেকে রাশিয়ায় সংযোগ স্থাপনে কার্চের বিকল্প সেতু তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। ২০১৪ সালে কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত ক্রিমিয়া অনৈতিকভাকে দখল করে রাশিয়া।
১০ বছর আগে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত হয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ। ইউক্রেনের অধীনে ২০ বছরের বেশি সময় থাকার পর আবারও রাশিয়ার অধীনে চলে যায় ক্রিমিয়া। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার দেশ উদযাপন করে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার একীভূত হওয়ার ১০ বছর। এ নির্বাচনে ভোট দেন ক্রিমিয়ার সাধারণ মানুষও। ইউক্রেনের কাছ থেকে অবৈধভাবে দখল করা এ উপদ্বীপ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ক্রিমিয়া রাশিয়ায় ফিরেছে।
কারচুপি হয়েছে দাবি করে এই নির্বাচনে ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমা বিশ্ব। অন্যদিকে পুতিনকে অভিনন্দন জানিয়েছে চীন, সৌদি আরব আর ভারত। কারণ ক্রিমিয়া দখল করেই শান্ত হননি পুতিন। এ উপদ্বীপ দখলের ৮ বছর পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া আর খেরসন দখল করেছেন পুতিন। দখল করা নতুন অঞ্চলগুলোকে নিউ রাশিয়া হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় পুতিন ঘোষণা দেন, রাশিয়ার রস্তোভদন শহর থেকে ক্রিমিয়ায় অধিকৃত অঞ্চলগুলো দিয়ে একটি নতুন রেলপথ হবে। যা কাজ করবে এই উপত্যকার সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের বিকল্প পথ হিসেবে। বর্তমানে যে সেতুটি আছে, সেটি ২০১৮ সালে তৈরি। ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরুর পর এ সেতুতে হামলা হয়ে দুইবার যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
২০০০ সাল থেকে রাশিয়া শাসন করে যাচ্ছেন পুতিন। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন তিনি। সোভিয়েত স্বৈরশাসক জোসেফ স্টালিনের পর এ প্রথম কোন নেতা এতোদিন ধরে ক্ষমতায় আছেন।