আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, আইওএম এর লিবিয়া কার্যালয় বলছে, এই নৌকায় অন্তত ৮৬ জন অভিবাসী ছিলেন।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসীদের কাছে প্রধান প্রস্থান পয়েন্টগুলোর মধ্যে লিবিয়া অন্যতম। আইওএম বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় এ বছর দুই হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ ডুবে গেছে।
মূলত উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসীদের উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় প্রাণহানির বিষয়টি অনেকটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, নৌকাডুবির সবশেষ এই ঘটনার শিকার অভিবাসীদের বেশিরভাগই নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া এবং অন্যান্য আফ্রিকান দেশ থেকে এসেছিল।
সংস্থাটি বলেছে, দুর্ঘটনার পর ২৫ জন জীবিত ব্যক্তিকে লিবিয়ার শরনার্থীদের আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া একটি প্রধান ট্রানজিট রুট হয়ে ওঠে।