ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

আজারবাইজান থেকে গ্যাস নেবে সার্বিয়া

রুশ গ্যাস নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় ইইউ

রাশিয়ার গ্যাস নির্ভরতা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রণয়ণ করা হচ্ছে আইনও। তারই অংশ হিসেবে আজারবাইজান থেকে সরাসরি প্রাকৃতিক গ্যাস পেতে বুলগেরিয়ার সঙ্গে আন্তঃসংযোগকারী পাইপলাইন চালু করলো সার্বিয়া।

২০২৪ সাল থেকে প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস কিনতে আজারবাইজানের সাথে চুক্তিও করেছে বলকান দেশটি। একইসঙ্গে গ্রীক বন্দরের এলএনজি টার্মিনাল থেকে তরল গ্যাস নেয়ার অনুমতি পেতে যাচ্ছে সার্বিয়া।

দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী দুবরাভকা ডিজেডোভিক বলেন, 'আমাদের সঙ্গে অতিরিক্ত গ্যাসের উৎস যোগ হলো। যা আমাদের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে রাশিয়ান উৎস থেকে বেরিয়ে আসার পথ উন্মোচিত হলো। আমি মনে করি- সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা ছাড়া ভালোভাবে এগিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।'

সার্বিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ইমানুয়েল জিয়াউফ্রেট বলেন, 'ইউরোপীয় ইউনিয়ন সার্বিয়ার শক্তির উৎসগুলোকে বৈচিত্র্যময় করতে এবং রাশিয়ান গ্যাসের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরতার অবসান ঘটাতে এই প্রকল্পটিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য দেশগুলো যাতে রাশিয়ান গ্যাসের উপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে তার জন্য আমাদের নির্ভরযোগ্য অংশীদার প্রয়োজন।'

পাইপলাইনটি চালু হলে বছরে এক দশমিক আট কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। যা সার্বিয়ার বার্ষিক গ্যাস চাহিদার ৬০ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম।

আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলে, 'প্রকৃতপক্ষে এই পাইপলাইনের নেটওয়ার্ক ইউরোপের শক্তি নিরাপত্তায় অবদান রাখবে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই আজারবাইজান একটি নির্ভরযোগ্য দেশ।'

বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ বলেন, 'এটি সার্বিয়া, বুলগেরিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে একটি সফল প্রকল্প। এই সহযোগিতা আমাদের অঞ্চলের টেকসই উন্নতি ও অর্থনৈতিক গতি ধরে রাখতে সহায়তা করবে। যা ইউরোপীয় ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য আমাদের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।'

বুলগেরিয়ার সঙ্গে সার্বিয়ার আন্তঃসংযোগকারী পাইপলাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৭ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। যেখানে ইউরোপীয় কমিশনই সহায়তা দিয়েছে ৪৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ইউরো।

এরইমধ্যে সদস্য দেশগুলোকে আলাদাভাবে রাশিয়া ও বেলারুশের গ্যাস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা দিতে আইন প্রণয়নের কাজেও হাত দেয়া হয়েছে।