থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত বন্ধে দুই দেশের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন ট্রাম্প

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার পতাকা, ডোনাল্ড ট্রাম্প
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার পতাকা, ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার চারদিনের সংঘাতে নিহত তিন থাই বেসামরিকসহ ২০ জনের বেশি। সংঘাত থেকে বাঁচতে ভিটেমাটি ছেড়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। সংঘাত বন্ধে দুই দেশের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই (১১ ডিসেম্বর) ফোনে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নিয়ে সতর্ক থাই সরকার চায় দ্বিপাক্ষিক সমাধান।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার ৮১৭ কিলোমিটার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকাজুড়ে ১২টির বেশি এলাকায় সংঘাত গড়ালো চতুর্থ দিনে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস জুলাইয়ের পাঁচ দিনের যুদ্ধের পাঁচ মাস যেতে না যেতেই ফের রক্তাক্ত প্রতিবেশী দেশ দু'টির অভিন্ন সীমান্ত।

চলতি সপ্তাহে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে দুই দেশ। উভয়পক্ষেরই অভিযোগ, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণের লক্ষ্য করা হচ্ছে সীমান্তের বেসামরিক বাসিন্দাদের। এ অবস্থায় সংঘাত থেকে প্রাণে বাঁচতে তিনদিনেই ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ।

স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনলে দৌড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হবে। সংঘাত থেকে বাঁচতে হলে এটাই একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়। বোমা পড়লেও এখানে আমরা সুরক্ষিত। ভেতরে থাকলেই হবে।’

অন্য একজন বলেন, ‘দুই জায়গায় এফ-সিক্সটিন বিমান ফেলেছে থাইল্যান্ড। একটা আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটি আর আরেকটা এলাকা এখান থেকে কাছেই। এরপর আর বোমার আওয়াজ শুনিনি। কিন্তু সীমান্তের কাছে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:

জুলাইয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সরকারপ্রধানদের সাথে ফোনে আলাপের মাধ্যমে সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান; পরবর্তীতে সে অস্ত্রবিরতির মেয়াদ বাড়ে অক্টোবর পর্যন্ত। হুমকি দিয়েছিলেন যুদ্ধ না থামালে স্থগিত করবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আলোচনা। এবারও সংঘাতরত দুই দেশের নেতাদের সাথে বৃহস্পতিবার ফোনালাপ করবেন বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘আমি যে আটটি সংঘাত বন্ধ করেছিলাম, তার মধ্যে একটি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধ। তারা অনেক দিন ধরে লড়াই করছে। অনেক, অনেক, অনেক দশক ধরে লড়ছে। দুই দেশের সাথেই আমার সম্পর্ক ভালো। দুই দেশ দুই চমৎকার নেতা ও ব্যক্তির নেতৃত্বে চলছে। আমি একবার এ সংকট সমাধান করেছি। এ কাজে আমি বেশ দ্রুত বলে মনে হয়।’

মঙ্গলবারই দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন জুলাইয়ের অস্ত্রবিরতি মধ্যস্থতা করা মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। যদিও আসেনি কোনো সিদ্ধান্ত। ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবের বিষয়ে এবার আরও সতর্ক অবস্থানে থাইল্যান্ড। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার সংকট সমাধানে মার্কিন সম্পৃক্ততা এড়িয়ে থাই সরকার চায় দ্বিপাক্ষিক সমাধান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল জানান, ট্রাম্প ফোন করলে প্রকৃত পরিস্থিতি তুলে ধরবেন তিনি।

এসএস