টাইফুন কালমায়েগরির এক সপ্তাহের পার হওয়ার আগেই দ্বিতীয়বারের মতো ফিলিপন্সে আঘাত হানে আরেক সুপার টাইফুন ফাং ওং। দেশটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর কিছুটা দুর্বল হয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। আঘাত হানতে পারে তাইওয়ানে।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে ফিলিপিন্সের লুজন দ্বীপে আঘাত হানে ফাং ওং। ঘণ্টায় ১শ ৮৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালায় শক্তিশালী ফাং ওং। ঝড়ের আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয় দেশটির ১৪ লাখ বাসিন্দাকে। বাতিল করা হয় দেশটির শত শত ফ্লাইট।
তবে বিধ্বংসী ঝড়ের আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ঘর-বাড়ি। সময়মতো ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস পাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঝড়ো বাতাস ও প্রবল বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশটি উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বেশকিছু প্রদেশ। হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাতাস এবং কিছু বৃষ্টিপাত শুরু হয় রাতে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। কাছাকাছি প্রায় সব গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে,এমনকি বৈদ্যুতিক খুঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আমাদের বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।’
অন্য একজন বলেন, ‘গত রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। আমি আমার নাতি-নাতনিদের বলেছিলাম আমাদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করতে। আমি সারা রাত বসে ছিলাম ঝড় থামার অপেক্ষায়।’
টাইফুন কালমায়েগির পর আগেই বন্যা দেখা দিয়েছে ফিলিপিন্সে, সুপার টাইফুন ফাং-ওং-এর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দেশটির প্রধান ধান উৎপাদনকারী প্রদেশ নুয়েভা এসিজাতে একটি নদী প্লাবিত হয়ে কৃষিজমি এবং ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।
চলতি বছরের ২১তম ঝড় হিসেবে ফিলিপিন্সে আঘাত হানে ফাং-ওং। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত ফিলিপিনোদের জন্য প্রার্থনা করেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ রিও চতুর্দশ। সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জনতার উদ্দেশ্যে সাপ্তাহিক অ্যাঞ্জেলাস বার্তায় পোপ ফিলিপিন্সে নিহতদের পরিবারের জন্য, আহতদের এবং বাস্তুচ্যুতদের জন্য প্রার্থনা করেন।




