এশিয়া
বিদেশে এখন
0

আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার জুনিয়র চিকিৎসকদের

১৭ দিন পর আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেন কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। এছাড়া পূর্বঘোষিত স্বাস্থ্য ধর্মঘটও তুলে নেয়া হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, ভুক্তভোগীর অভিভাবকের অনুরোধে তারা এসব কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন। দাবি আদায়ে নতুন করে তীব্র আন্দোলনের পরিকল্পনার কথাও জানান তারা।

ভারতের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের কাণ্ডে ৭০ দিন ধরে আন্দোলন চলার পরও চূড়ান্ত সমাধান আসেনি। স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, মেয়েদের রাত দখল, ডাক্তারদের ধর্মঘট, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক এবং অনশন করেও জটিলতা কাটেনি।

জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন ১৪ জন ডাক্তার। এদের মধ্যে ৬ জন অসুস্থ হয়ে পরলেও বাকি ৮ জন সোমবার রাত পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যান। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর টানা ১৭ দিনের আমরণ অনশন কর্মসূচি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। পূর্বঘোষিত স্বাস্থ্য ধর্মঘট কর্মসূচিও প্রত্যাহার করে নেয় তারা।

যদিও বিক্ষোভরত ডাক্তারদের দাবি, ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অনুরোধ এবং সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে তারা আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করেছেন। আগামী শনিবার আর জি কর হাসপাতালের সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।

জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে একজন জানান, আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। এখনো আমরা বিচার পায়নি। ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অনুরোধে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

আরও একজন জানান, আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো। প্রতিবাদ আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের ৪৫ মিনিটের বৈঠক গড়ায় ২ ঘণ্টায়। এ সময় বেশকিছু বিষয়ের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায়ও জড়ান জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিবের পক্ষ নিলেন মমতা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'একটা মানুষকে প্রমাণ করার আগে অভিযুক্ত বলা যায় না।'

গেল ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক জুনিয়র নারী চিকিৎসকের মরদেহ। এর জেরে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বহিষ্কার করা হয় মেডিকেলের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। তদন্তভার পুলিশের কাছ থেকে যায় সিবিআই-এর হাতে।